সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় ও প্রধান আকর্ষণীয় প্রদেশের নাম দুবাই। বিলাসবহুল জীবনযাপন, চোখ ধাঁধানো রঙিন আলোকরশ্মি, আকাশচুম্বি অট্টালিকা, হোটেল, কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জসহ নানা কারণে দুবাই ভ্রমণ-প্রিয়দের পছন্দের শীর্ষে। বুর্জ আল খলিফা, বুর্জ আল আরব, দুবাই মল, পাম আইল্যান্ড, প্রমিজ ব্রিজসহ অনেকগুলো আকর্ষণীয় জায়গা ও অ্যাডভেঞ্চারের জন্য বিখ্যাত এ শহরটি।

দিনের আলোয় দুবাইয়ে খুব একটা চমক নেই। সবকিছু যেন সাধারণ আর সাদামাটা। প্রচণ্ড রোদ আর উত্তাপ থেকে বাঁচতে দিনের সময়টা দুবাই শহর থাকে ভীষণ নীরব। তবে রাত নামতেই বদলে যায় চিত্র।

রাত হলেই জেগে ওঠে রাতের শহর দুবাই। বেড়ে যায় কর্মব্যস্ততা। হোটেল, নাইট ক্লাব, ড্যান্স বার, খাবারের দোকান থেকে শুরু করে শপিংমল- সবাই যেন প্রাণ ফিরে পায়। কৃত্রিম আলোয় আলোকিত পুরো গোটা শহর।

ভেদাভেদ হারিয়ে যায় হাসি আর আনন্দের খোঁজে। তবে টাকা ছাড়া এই শহরে সুখ কেনার সুযোগ নেই। কিন্তু কেউ কেউ নিজে টাকা খরচ করে আপনাকে অবাক করবে, আনন্দ দিবে এমন মানুষও এখানে আছে।

যেমন আরব ধনীর দুলালদের কথাই বলি। তাদের উদ্ভট কর্মকাণ্ডে আপনি যেমন অবাক হবেন, তেমনি আনন্দও পাবেন। এদের বড় একটা অংশ ডুবে থাকবে নাইট ক্লাব গুলোতে। আবার কেউ কেউ নিজের বাড়িতে চিতা বাঘ, ঈগল পোষে। কেউ কেউ বেরিয়ে পড়ে প্রমোদ তরী নিয়ে।

আবার কিছু আরব দুলালের শখ দেখে আপনি ভয়ে চোখ বন্ধ করে নেবেন। মোটর বাইক পাগলামির শীর্ষে ধনীর দুলালরা। তারা রাস্তায় মোটর বাইক ছুটে চালায় কিন্তু সামনের চাকা দুটি আকাশমুখি। চালকের শরীরের পিঠের অংশটা রাস্তা যেন ছুঁয়ে ফেলেছে।

ঠিক কিছুক্ষণ পর আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠে যাচ্ছে আকাশমুখি হয়ে। এভাবে রাস্তা দিয়ে যাওয়া পর্যটকদের আকর্ষণ করছে তারা। জানালা খুলে মোবাইল বা ক্যামেরা বের করে ছবি তুলতেই তারা যেন দারুণ আনন্দ পায়।

জানা গেছে এমন কাণ্ড দেখাতে তারা যে মোটরবাইক ব্যবহার করে সেগুলো বিশেষভাবে তৈরি। সহজে এগুলো উল্টে যায় না। এতে আছে জিপিআরএস সিস্টেম থেকে শুরু করে এসিও। ৮০০ থেকে ১২০০ সিসির এই বিশেষ বাইকের দাম পাঁচ থেকে ২০ লাখ টাকা। এমন মোটর বাইক চালিয়ে পাগলামি দেখাতে ভালোবাসে আরব ধনীর দুলালরা।

রাতের দুবাই অন্য জগতে নিয়ে যাবে পর্যটকদের। বিশ্বের সবচেয়ে সুউচ্চ দালান বুর্জ আল খলিফা এই শহরের গর্ব।