সংযুক্ত আরব আমিরাত রুশ সোনা কেনাবেচার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রচলিত রফতানি রুটগুলো থেকে রাশিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার এই প্রবণতা তৈরি হয়েছে। কাস্টমস নথির বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

কাস্টমস রেকর্ড অনুসারে, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর প্রায় এক হাজার স্বর্ণের চালান পৌঁছেছে আমিরাতে। এর মাধ্যমে প্রায় ৭৫ দশমিক ৭টন রুশ স্বর্ণ এসেছে। এগুলোর আনুমানিক মূল্য ৪৩০ কোটি ডলার। ২০২১ সালে স্বর্ণ আমদানির পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৩ টন।

রুশ স্বর্ণের পরবর্তী বৃহত্তম গন্তব্য হলো চীন ও তুরস্ক। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত দেশ দুটিতে রুশ স্বর্ণ আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২০ টন। রাশিয়ার রফতানিকৃত মোট স্বর্ণের ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে তিন দেশে।

ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর অনেক বহুজাতিক ব্যাংক, লজিস্টিক সরবরাহকারী ও গুরুত্বপূর্ণ ধাতব শোধনকারীরা রুশ স্বর্ণ লেনদেন বন্ধ করে। সাধারণত, এসব স্বর্ণ লন্ডনে পাঠানো হত।

২০২২ সালের ৭ মার্চ লন্ডনের স্বর্ণের বাজারে রুশ বার নিষিদ্ধ করা হয়। আগস্টের দিকে ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপান রুশ স্বর্ণ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

রফতানির নথি অনুসারে, রুশ স্বর্ণ দ্রুতই নতুন বাজার খুঁজে পায়। যেমন, তুরস্ক, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের বিশেষজ্ঞ লুইস মারেশাল বলেছেন, ঝুঁকি ছিল রাশিয়া স্বর্ণকে গলিয়ে ফেলা হতে পারে এবং পরিচয় গোপন করে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় মার্কেটে প্রবেশ করানো হতে পারে।

আমিরাত সরকারের সংশ্লিষ্ট কমিটি বলছে, সরকার স্পষ্ট ও দ্রুতগতির প্রক্রিয়ায় অবৈধ পণ্য, অর্থপাচার ও নিষেধাজ্ঞায় থাকা কোম্পানির সঙ্গে লেনদেন করছে।