প্রতিবারই রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রথম সারির দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নেয় আমিরাত। এবারও হয়নি তার ব্যতিক্রম। তারই ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমিরাত থেকে বাংলাদেশ তিন বিলিয়ন ইউএস ডলারেরও বেশি রেমিট্যান্স পেয়েছে। প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রেরণে উদ্বুদ্ধ করার জন্যে দুয়ারে কনস্যুলেট নামক একটি অনুষ্ঠান নিয়মিতই করে থাকেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন।

বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর কামরুল হাসান জানান, অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে মূলত চেষ্টা করা হয় ব্যবসায়ী থেকে তৃণমূল পর্যায়ের প্রবাসীদের কাছেও যেন সঠিক তথ্য পৌঁছানো হয় এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে উৎসাহ সৃষ্টি করা

যেতে পারে। এছাড়াও বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্যে পেশাজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক, ব্যাংকার, সাধারণ কর্মী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কনসালটেন্ট ও নারী পেশাজীবী রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে।

রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ মিশনের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান দুয়ারে কনস্যুলেট, একই সঙ্গে সাংবাদিকদের প্রচারণা এবং কমিউনিটির নেতৃবৃন্দদের সহযোগিতার বিরাট অবদান রেখেছে বলে মন্তব্য আমিরাত প্রবাসীদের।

তবে এবার অনেকেই আশঙ্কা করছেন গত বছরের ন্যায় রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণা থাকলেও এবার কিছুটা ব্যাঘাত ঘটতে পারে। কারণ বর্তমানে থাকা বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে না পারলে রেমিট্যান্স প্রেরণের এই হার কমতে পারে দ্রুত। তাই প্রয়োজন কূটনৈতিক তৎপরতা।