মাশরুম সাধারণত অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে বনের মাটিতে অথবা মাটিতে পড়ে যাওয়া গাছের ডালপালায় জন্মায়। সেই মাশরুম এখন আবুধাবির তপ্ত মরুতে চাষ করছে একটি স্টার্টআপ কোম্পানি।

‘বিলো ফার্ম’ নামের ওই স্টার্টআপ অয়েস্টার, কিং অয়েস্টার, শিতাকে, লায়ন’স মেন-এর মতো বিশেষ ধরনের মাশরুম উৎপাদন করছে।

স্টার্টআপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রন্টি উইয়ার সিএনএনকে বলেন, গাড়িতে করে আবুধাবি থেকে মিনিট পঁয়তাল্লিশের দূরত্বে অবস্থিত এই ইনডোর খামারটি এ অঞ্চলের প্রথম হাই-এন্ড মাশরুম উৎপাদন ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান তারা।

২০২১ সালে এক পোলিশ দম্পতির সঙ্গে মিলে বিলো ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন ব্রন্টি উইয়ার। তাদের কোম্পানির পণ্যতালিকায় মাশরুম বাক্স ও মাশরুম পাউডার আছে। কোম্পানিটির মাসে প্রায় ১ টন মাশরুম উৎপাদন করে।

উইয়ার জানান, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে ইনডোর খামারে মাশরুম চাষ করা হয়, সেই পদ্ধতিতে আবুধাবির খরতপ্ত মরুতে দিনের তাপমাত্রায় এ উদ্ভিত উৎপাদন সম্ভব নয়।

এ সমস্যার সমাধানে তারা খামারের ভেতরের তাপমাত্রা কম রাখতে চার ধরনের বিশেষভাবে অভিযোজিত, প্রেশারাইজড চেম্বার তৈরি করে নিয়েছেন।

উইয়ার বলেন, তারা মাশরুম চাষের উপযোগী আলো, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও আবহাওয়া তৈরি করতে পারেন খামারে।

মাশরুমকে আবুধাবির তীব্র বাতাসের হাত থেকে রক্ষা করতে চেম্বারের ভেতরে বাতাসের চাপ বেশি রাখা হয় বলে জানান তিনি। এর উদ্দেশ্য চেম্বারের দরজা খোলা রাখলে যেন বাইরের ধুলিযুক্ত বাতাস যেন ভেতরে আসতে না পারে, বরং ভেতরের বাতাস বাইরে বেরিয়ে যায়।

উইয়ার জানান, তারা মূলত মরে যাওয়া খেজুর পাতা পুনর্ব্যবহার কএর তৈরি বিশেষ ব্লকে মাশরুম জন্মাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত তারা ৩৫০ টন খেজুর পাতা ব্যবহার করেছেন।

বিলো ফার্মের মাশরুম ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। কোম্পানিটির পার্শ্ববর্তী রেস্টুরেন্ট মার্মেলাটা-র মালিক রাজ দাগস্তানি বলেন, তাদের রেস্টুরেন্টের সেরা পিজ্জা তৈরি হয় পাতাকপি ও মাশরুম দিয়ে। এই পিজ্জা তিনি বিলো ফার্মের মাশরুম দিয়ে তৈরি করেছে বলে জানান। এখন তিনি বিলো ফার্ম থেকে সপ্তাহে বিশ কেজি অয়েস্টার মাশরুম কেনেন।