একসাথে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী, দুই পরিবারেই খুশির বন্যা

বিয়ের ৩ বছর পর একসাথে ৪ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বিথী আক্তার নামে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। গত ৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে তিনি ৪ সন্তান প্রসব করেন। নবজাতকদের মধ্যে রয়েছে ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে।

নবজাতকগুলোর ওজন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় বর্তমানে তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা।

এই ব্যতিক্রমী ঘটনার পর বিথী ও তার পরিবারের সদস্যরা অত্যন্ত আনন্দিত। একইসঙ্গে নবজাতক চার সন্তান ও তাদের মায়ের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, তিন বছর আগে জেলার কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের বল্লাবাড্ডা গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে, সৌদি প্রবাসী নাজমুল ইসলামের সঙ্গে বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের আদাজান গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে বিথী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের তিন বছর পর বিথী প্রথমবারের মতো গর্ভধারণ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব ব্যথা ওঠায় তাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে চারটি সন্তান প্রসব করেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

বিথীর বাবা বাদল মিয়া বলেন, ‘মেয়ের প্রথম সন্তান জন্ম নেওয়ায় আমাদের দুই পরিবারেই আনন্দের সীমা নেই। নিরাপদ ডেলিভারির জন্য কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসঙ্গে চারটি সন্তান জন্ম নেওয়া আমাদের জন্য বড় আশীর্বাদ।’

এ বিষয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সুমা আক্তার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সকালে প্রসব যন্ত্রণায় ভুগছিলেন বিথী। ভর্তি করার পর আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে একাধিক সন্তান ধারণের বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে আমরা প্রয়োজনীয় সতর্কতা গ্রহণ করি এবং নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে চারটি সন্তান প্রসব করানো সম্ভব হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘নবজাতক চারটির ওজন কম হওয়ায় তাদের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মায়ের মানসিক অবস্থাও কিছুটা দুর্বল, তাকেও গুরুত্বসহকারে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে কুমুদিনী হাসপাতালের উপপরিচালক অনিমেষ ভৌমিক বলেন, ‘চিকিৎসক ও নার্সদের আন্তরিক চেষ্টায় বিথীর সফল ডেলিভারি সম্ভব হয়েছে। তবে নবজাতকদের মধ্যে দুটি শিশুর অবস্থা সংকটাপন্ন। তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।’