ইরানের সাথে সম্পর্ক গভীর করতে যাচ্ছে সৌদি আরব!

মুসলিম বিশ্বের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব এখন ইসরায়েলের আগ্রাসন মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারছে না। উল্টো যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের সাথে তাদের বন্ধুত্ব ও মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ইরানের সাথে তাদের বৈরিতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।

তবে কাতারে হা*ম;লা করে ইসরাইল বুঝিয়ে দিয়েছে যে সৌদিও তাদের নিশানার বাইরের কেউ নয়। এমন প্রেক্ষাপটে ইসরাইলের আগ্রাসন রুখতে ২ আঞ্চলিক পরাশক্তি ইরান ও সৌদির মধ্যে ঐক্য গড়ে উঠছে।

Photo: SPA

ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তার সৌদি সফর 
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মঙ্গলবার রিয়াদে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা প্রধান আলী লারিজানির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ এবং ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব লারিজানি “দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং সর্বশেষ আঞ্চলিক উন্নয়ন পর্যালোচনা করেছেন।” ধারণা করা হচ্ছে ইসরাইলের বর্তমান আ’গ্রা’সী ভূমিকা নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে যে আলোচনায় “এই অঞ্চলের ভবিষ্যত” এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

পরে, লারিজানি রিয়াদে সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, যেখানে উভয় পক্ষ সৌদি-ইরান সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছেন।

তারা “দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা” নিয়েও আলোচনা করেছেন, আইআরএনএ জানিয়েছে।

কাতারে সৌদি-ইরান বৈঠক ও ঐক্যের বার্তা
মঙ্গলবার কাতারে আরব ইসলামিক সম্মেলনের ফাঁকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ইরানি প্রেসিডেন্ট সৌদি যুবরাজকে বলেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য রক্ষায় সৌদি আরবের ওপর গুরু দায়িত্ব বর্তায়। তিনি আরও মন্তব্য করেন যে, ইসলামী দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে ইসরায়েলি আগ্রাসন প্রতিরোধ করা সম্ভব। ইরান, সৌদি আরব ও তুরস্কের মতো প্রধান ইসলামিক দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক বিস্তৃত হওয়ায় মোহাম্মদ বিন সালমানও খুশি হন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন ও বাড়াবাড়ি প্রতিরোধ করতে ইসলামী দেশগুলোকে দীর্ঘমেয়াদে আরও শক্তিশালী হতে হবে।