মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত বিদেশি নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ভিসা চালু করেছে ২০১৯ সালে, যার আওতায় পাঁচ ও ১০ বছর মেয়াদে ভিসা দেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বেশ কিছু ব্যক্তির এ ধরণের ভিসা লাভের খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এবার দেশটিতে দক্ষ পেশাদারদের জন্য গোল্ডেন ভিসার বেতনের প্রয়োজনীয়তা হ্রাস করেছে। এই সিদ্ধান্ত আসার পর থেকে দীর্ঘমেয়াদি বসবাসের চাহিদা আকাশচুম্বী হয়েছে।

দুবাইয়ের অ্যারাবিয়ান বিজনেস সেন্টারে (আমের সেন্টার) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের অক্টোবরে স্কিমটি চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি গোল্ডেন ভিসা প্রদান করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমের অপারেশন ম্যানেজার ফিরোসেখান বলেন, যে অ্যাপ্লিকেশনগুলি পরিচালনা করেন তার বেশিরভাগই পেশাদার এবং ব্যবসায়ীদের জন্য। চলতি বছরে আমরা ১২ হাজারেরও বেশি গোল্ডেন ভিসা ইস্যু করেছি।

তিনি আরও জানান, কর্মচারীদের গোল্ডেন ভিসার আবেদন করতে আগে মাসিক বেতন প্রয়োজন ছিল ৫০ হাজার দিরহাম। যা বর্তমানে কমিয়ে করা হয়েছে ৩০ হাজার দিরহাম। এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে চিকিৎসা, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা ও প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, সংস্কৃতি এবং সামাজিক বিজ্ঞান।

জানা গেছে, আবেদনকারীদের অবশ্যই আমিরাতে একটি বৈধ কর্মসংস্থানে চুক্তি থাকতে হবে এবং মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন মন্ত্রনালয় অনুযায়ী প্রথম বা দ্বিতীয় পেশাগত স্তরে শ্রেণীবদ্ধ থাকতে হবে। ন্যূনতম শিক্ষাগত স্তর একটি স্নাতক ডিগ্রী বা সমতুল্য।

রেসিডেন্সি অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাফেয়ার্সের জেনারেল ডিরেক্টরেট (জিডিআরএফএ) অনুসারে, ২০১৯ এবং ২০২২ সালের মধ্যে দুবাইতে ১ লাখ ৫১ হাজাট ৬০০ টিরও বেশি গোল্ডেন ভিসা ইস্যু করা হয়েছিল৷ এটি এখন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গোল্ডেন ভিসার আওতায় সরকার ১০ বছরের ভিসা দিয়ে দিচ্ছে। তখন ভিসা নবায়ন করার কোন প্রয়োজন হয় না এবং এক জায়গায় চাকরী ছেড়ে অন্য জায়গায় স্বাধীনভাবে যেতে পারবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দুবাইয়ের নেতা শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম ২০১৯ সালে গোল্ডেন কার্ড ভিসা পদ্ধতি চালু করেছিলেন।