দুবাইয়ের আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকাশ যেন সামরিক জেট ও বিমান প্রদর্শনীর দখলে। ১৩ থেকে ১৭ নভেম্বর মোট পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এয়ার শো-তে নিজস্ব প্যাভিলিয়ন নিয়ে অংশগ্রহণ ছিল বিভিন্ন এয়ারলাইন্স কোম্পানির।

আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের বিমান এয়ারলাইন্সগুলো আকাশে তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা প্রদর্শন করে দর্শনার্থীদের উদ্দেশে। এখানে ইন্ডিয়া-পাকিস্তানের অংশগ্রহণ দেখা গেলেও কখনও অংশগ্রহণ দেখা যায়নি বাংলাদেশের। তবে কোনও একসময় বাংলাদেশ এখানে অংশগ্রহণ করবে এমন প্রত্যাশা বাংলাদেশিদের।

সামরিক জেট এবং বিমান মহড়ায় দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্টার বিমানবন্দরের আকাশ যেন ছিল যেন তাদের দখলে। এ ছাড়াও, বিভিন্ন দেশের ও এয়ারলাইন্সের প্যাভিলিয়ন থাকে এখানে। আন্তর্জাতিক এই দুবাই এয়ার শো দেখতে প্রচুর পর্যটকরা ঘুরতে আসেন এখানে।

প্যাভিলিয়নে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স তাদের নিত্যনতুন এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগুলো তুলে ধরে এখানে। এবারের এয়ার শো-তে প্রদর্শিত হচ্ছে ব্যবসায়িক জেট, ড্রোন, বাণিজ্যিক বিমান সংস্থা, ব্যক্তিগত বা সামরিক জেট এবং হেলিকপ্টারসহ ১৮০টির বেশি বিমান।

দুই বছর পর আবারও নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এই শো-টি শুরু হয়েছে। বলা যায়, দুবাইয়ের এই এয়ার শো বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ একটি। এখানে পাকিস্তান ও ইন্ডিয়ারও অংশগ্রহণের দেখা যায়। কিন্তু দেশীয় কোনও প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ ছিল না কখনও।

এয়ার শো-তে অংশ নিয়েছে বিশ্বের ৯৫টি দেশের উড়োজাহাজ শিল্পের সাথে জড়িত ১৪০০টির বেশি প্রতিষ্ঠান। এরা ২০০টি আকাশ ও মহাকাশ যান নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশও একসময় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এয়ারলাইন্সের প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন দিক তুলে ধরবে- এমন প্রত্যাশা সকলের।