ধর্মীয় উপাসনালয়ও যে দর্শনীয় স্থান হতে পারে তার নজির স্থাপন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাজধানী আবুধাবিতে নির্মিত শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ দেখতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় সহসাই চোখে পড়ে। মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে আরব আমিরাত এর প্রয়াত রাষ্ট্রপ্রধান শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের নামানুসারে। মসজিদটি আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড়। এটি পৃথিবীর অষ্টম বৃহত্তম সুন্দর মসজিদ।

এরই মধ্যে গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশটি ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বে প্রথম পানিতে ভাসমান মসজিদ নির্মাণের। এই মসজিদও দুবাইয়ে নির্মিত হবে। এ লক্ষ্যে ৫ কোটি ৫০ লাখ আমিরাতি দিরহামের পরিকল্পনাও ঘোষণা করেছে দুবাই কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু মসজিদটি কোথায় হবে সেটা এখনও প্রকাশ করেনি। সেই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই আবুধাবির টেকসই ও উদ্ভাবন কেন্দ্র মাসদার সিটিতে পরিবেশবান্ধব মসজিদ উদ্বোধন করল দেশটি।

মাসদার পার্কে অবস্থিত ইসতিদামা মসজিদটি আরব আমিরাতের প্রথম ‘লিড প্লাটিনাম’ মসজিদ। লিড প্লাটিনাম হলো- সবুজ ভবনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, যা যুক্তরাষ্ট্রের ‘গ্রিন বিল্ডিংস কাউন্সিল’ কর্তৃক পুরস্কারপ্রাপ্ত।

আবুধাবির মাসদার সিটিতে পরিবেশবান্ধব মসজিদ উদ্বোধন করছেন অতিথিরা, ছবি : সংগৃহীত

গম্বুজ বিশিষ্ট নতুন মসজিদের আয়তন ৫০০ বর্গমিটার। যেখানে প্রতি ওয়াক্তে ৩৩৫ জন নামাজ আদায় করতে পারবে। ‘এক্স-আর্কিটেক্টস’-এর সহযোগিতায় মাসদার সিটি অসাধারণ এই মসজিদের নকশা করেছে।

স্থানীয় পরিবেশের প্রতি লক্ষ রেখে মসজিদের কাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে, যেন প্রাকৃতিক উপায়ে মসজিদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ছাদের স্বচ্ছ আবরণ ও ঐতিহ্যবাহী আরবীয় পর্দাগুলো একই সঙ্গে প্রাকৃতিক আলো বৃদ্ধি করে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ছাড়া মসজিদে বায়ু চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সেন্সর মসজিদের আলো ও বাতাসের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ভেতর মাসদার সিটির দ্বিতীয় পরিবেশবান্ধব মসজিদ উদ্বোধনের কথা রয়েছে। যেখানে এক হাজার ৩০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবে।