জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুবাইয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ কথা জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. আমনা বিনতে আবদুল্লাহ আল দাহাক।

বৈঠকে পরিবেশমন্ত্রী চৌধুরী ও আল দাহাক জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, বন সংরক্ষণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পরিবেশ রক্ষায় মূল্যবান মতামত এবং কৌশল বিনিময় করেন। উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব কমাতে এবং পরিবেশ সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিতে টেকসই পদ্ধতি এবং নীতি প্রয়োগের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

মন্ত্রী সাবের হোসেন প্যারিস চুক্তি এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চুক্তিতে উল্লিখিত পরিবেশগত লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের সমর্থনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি সামগ্রিক পরিবেশগত উদ্দেশ্য অর্জনে আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব এবং সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। কপ-২৮ থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউএইর ঐকমত্য, বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক এবং দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা প্রয়াস প্রয়োজন বলে জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সায়েঘের সঙ্গে বৈঠক করেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

এ সময় আরব আমিরাতের পরিবেশমন্ত্রী আল দাহাক জলবায়ু পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্ব নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি নবায়নযোগ্য শক্তি, সংরক্ষণ প্রয়াস এবং জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কৌশলগুলোতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগ এবং বিনিয়োগ তুলে ধরেন।

এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আহমেদ আলী আল সায়েঘের সঙ্গে ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

বৈঠকে উভয় মন্ত্রীই বাণিজ্য ও বিনিয়োগে নতুন করে গুরুত্বারোপের মাধ্যমে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব শক্তিশালী করতে সম্মত হন। ২০২৪ সাল বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি শুভ বছর। কারণ, এটি কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি চিহ্নিত করে।