খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে ৫০ হাজার টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৩০৩.১৯ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় ৫০ হাজার টনের দাম পড়বে ১৬৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৩ লাখ টন এবং রাশিয়া থেকে জি-টু-জি ভিত্তিতে ৩ লাখ টনসহ মোট ৬ লাখ টন গম ক্রয়ের কার্যক্রম ইতিমধ্যে সম্পন্ন করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাজেটে গম আমদানির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে খাদ্য অধিদফতর কর্তৃক গম ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে। এতে মোট ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র সংগ্রহ করে।

দরপত্রে সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতি টন গমের দাম ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলার, দুবাইয়ের তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ৩০৭.০০৭ মার্কিন ডলার, ৩১২.০০ মার্কিন ডলার এবং ৩১৫.০০ মার্কিন ডলার উল্লেখ করে দরপত্র জমা দেয়।

খাদ্য অধিদফতর কর্তৃক গঠিত বাজার দর যাচাই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ বন্দর পর্যন্ত প্রতি টন গমের শুল্কপূর্ব দাম নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া, রোমানিয়া, ব্লাক সী, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও আমেরিকার প্রতি টন গমের গড় বাজার দর ৩৫৬.৮২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়।

দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে কোটেশনে অংশগ্রহণকারী ৪টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রহণযোগ্য দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করে। গ্রহণযোগ্য দরদাতা মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড কর্তৃক দাখিলকৃত দরপত্র ৫০ হাজার টন গমের জন্য উদ্ধৃত দর প্রতি টন ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলারের চেয়ে ৫৩.১৯ মার্কিন ডলার কম।

অভ্যন্তরীণ গম সংগ্রহ, ২০২৩ অভিযানে প্রতিকূল বাজার মূল্যের কারণে ১ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কোনো গম সংগৃহীত হয়নি। খাদ্য অধিদফতরের
এমআইএসঅ্যান্ডএম বিভাগের গত ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত দৈনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী গমের মজুদ মাত্র ২.১৩ লাখ টন, যা দেশের চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।

জরুরি পরিসেবা হিসেবে সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা এবং সরকারি নিরাপত্তা মজুদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের উদ্ধৃত দর বাংলাদেশের বন্দর পর্যন্ত প্রতি টন ৩০৩.১৯ মার্কিন ডলার গ্রহণের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি সুপারিশ করে।