আগের বছরগুলোর মতো এ বছরও কামানের তোপ দেগে ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু করবে শহর কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে শহরের সাতটি এলাকায় কামান মোতায়েন করা হয়েছে। রোববার (৭ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুবাই পুলিশ।

গাল্ফ নিউজের প্রতিবেদন মতে, যে সাত স্থানে কামানের তোপ দাগা হবে সেই স্থানগুলো হলো গ্রান্ড জাবিল মসজিদ, নাদ আল সিবার ঈদগাহ ময়দান, নাদ আল হামার, বারাহা, আল বারসা, উম সুকেইম ও হাত্তা।

ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখার সঙ্গে সঙ্গে পরপর দুইবার কামানের তোপ দাগা হবে। এরপর ঈদের দিন নামাজের শুরুতেই আরও দুইবার তোপ দাগা হবে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, অ্যাসিস্ট্যান্স কমান্ডার-ইন-চীফ মেজর জেনারেল আবদুল্লাহ আলি আল ঘাইতি জানান, কামান দাগার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কামান পরিচালনা দল আল মিদফার কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ তারিশ আল আমিনি বলেন, কামান দাগার সাতটি স্থানের প্রতিটিতে একটি দল গঠন করা হবে।

নাগরিকদের আগামী সোমবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার আহ্বান জানালো সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। শনিবার (৬ এপ্রিল) দেশটির চাঁদ দর্শন কমিটি এই আহ্বান জানায়।

কেউ চাঁদ দেখলে তাকে ০২৬৯২১১৬৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে অথবা নিকটস্থ আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য লিপিবদ্ধ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে পরদিন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশটিতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

আর যদি এদিন চাঁদ দেখা না যায় তাহলে পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে এবং পরদিন বুধবার (১০ এপ্রিল) দেশটিতে পবিত্র ঈদ উদযাপিত হবে।

পবিত্র রমজান মাসের রোজা পালনের সমাপ্তির পর এর উদযাপন করা হয়, তাই এই ঈদকে ‘রোজা ভাঙার উৎসব’ও বলা হয়ে থাকে। আর এই উৎসব চলে তিন দিন।

জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসেব অনুসারে, এ বছর পবিত্র রমজান মাস ৩০ দিন স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে সৌদি আরব ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিন দিনব্যাপী ঈদুল ফিতরের প্রথম দিনটি চাঁদ দেখার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়। যার মধ্যদিয়ে ইসলামি তথা হিজরি ক্যালেন্ডারের ১০তম মাস শাওয়াল মাসের শুরু হয়। চন্দ্র মাস সাধারণত ২৯ ও ৩০ দিনের হয়ে থাকে। তাই ঈদ কবে উদযাপিত হবে তা জানার জন্য মুসলিমদের সাধারণত ঈদের আগের সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।

সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশে আগামী সোমবার (৮ এপ্রিল) পবিত্র রমজানের ২৯তম দিন। এদি মাগরিবের (সূর্যাস্তের পর যে নামাজ পড়া হয়) নামাজের পর মুসল্লিরা আকাশে চাঁদ উঠেছে কি না তা দেখার জন্য পশ্চিম আকাশে চোখ রাখবেন।

সৌদি আরবে গত ১০ মার্চ ১৪৪৫ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। ১১ মার্চ থেকে শুরু হয় রোজা। এদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশে রোজা শুরু হয়।

সেই হিসেবে আগামী সোমবার (৮ এপ্রিল) সৌদিতে পবিত্র রমজান মাসের ২৯ তারিখ। এদিন সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।

ওইদিন শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে পরদিন মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঈদ উদযাপিত হবে। চাঁদ দেখা না গেলে ৩০ রোজা পূর্ণ হবে এবং বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ উদযাপিত হবে।

একইভাবে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরান, ওমান, জর্ডান, লিবিয়া ও মরোক্কোসহ যেসব দেশ গত ১২ মার্চ পবিত্র রমজান পালন তথা রোজা শুরু হয়েছে, সেসব দেশে ২৯তম রমজান হবে আগামী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল)। এদিন সন্ধ্যায় এই দেশগুলোতে আকাশে নতুন চাঁদ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।

যদি নতুন চাঁদ দেখা যায়, তাহলে পরের দিন ঈদ উদযাপন শুরু হবে। যদি না হয়, তাহলে এই দেশগুলোর মুসলিমরা আরও একদিন রোজা রাখবেন। তাতে পবিত্র রমজান মাস হবে ৩০দিনের।

সেক্ষেত্রে এই দেশগুলোতে বৃহস্পতিবার ঈদ উদযাপিত হবে। যা আগের দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন, রেডিও স্টেশন এবং মসজিদে মসজিদে ঈদ ঘোষণা করা হবে।