প্রবাসী আয়ে ২য় অবস্থানে আমিরাত

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ সময়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলারের মধ্য দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পেছনে ফেলে রেমিটেন্স আহরণে শীর্ষ দেশের তালিকায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের চেয়ে অনেক কম বাংলাদেশি অবস্থান করেন আমেরিকায়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে জুলাই-মার্চ সময়ে ৩৯৪ কোটি ৬১ লাখ (৩.৯৪ বিলিয়ন) ডলার এসেছে, যা মোট রেমিটেন্সের ১৮ দশমিক ১১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা এই রেমিটেন্স গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। শতাংশ হিসাবে বেড়েছে ১০৩ দশমিক শতাংশ।

জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেও শীর্ষ অবস্থানে ছিল দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের পরে এবারও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপর রয়েছে সৌদি আরব। প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। পবিত্র রমজানে প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লাগে। সেই হাওয়ায় এবার মার্চে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। মার্চে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে- সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য (ইউকে), মালয়েশিয়া, ওমান, কুয়েত, ইতালি, কাতার ও সিঙ্গাপুর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৪ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ কোট ৮৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে সংযুক্ত সৌদি আরব থেকে। এছাড়া আলোচিত সময়ে যুক্তরাজ্য (ইউকে), মালয়েশিয়া, কুয়েত, ওমান, ইতালি, কাতার ও সিঙ্গাপুর থেকে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, ২৯ কোটি ৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, ১৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার, ১৮ কোটি ৪৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার, ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ১১ কোটি ৭১ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও ৯ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।

এছাড়া বাহরাইন থেকে এসেছে পাঁচ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, ফ্রান্স থেকে তিন কোটি ৭৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সাউথ আফ্রিকা থেকে তিন কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার, কানাডা থেকে দুই কোটি ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার, অস্ট্রেলিয়া থেকে দুই কোটি এক লাখ ৭০ হাজার ডলার, সাউথ কোরিয়া থেকে এক কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জার্মানি থেকে এক কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার ডলার, গ্রিস থেকে এক কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার, স্পেন থেকে এক কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার ডলার।