খাঁটি সোনা চিনবেন যে ৫ উপায়ে
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়- বছরে একাধিকবার সোনার দাম ওঠানামা করে। তার পর থেকে নেই বেচাবিক্রি। এছাড়াও অনেকের কাছে সম্পদ হিসেবে সোনা সংগ্রহে আগ্রহ দেখা যায়। অনেক সময় কম দামে সোনা ক্রয়ের আশায় অনেকের পড়তে হয় প্রতারণার খপ্পরে। বহুল প্রচলিত কষ্টিপাথরে সোনা পরক করেও ঠকতে হয়। তাই জানা প্রয়োজন খাঁটি সোনা চেনার কৌশল।
এর আগে জানতে হবে- সোনা মাপা হয় ক্যারেটে। এ নিয়মে সোনা পরিমাপে ১০ ক্যারট, ১৪ ক্যারট, ১৮ ক্যারট, ২২ ক্যারেট এবং ২৪ ক্যারেটের সোনা পাওয়া যায়। এছাড়াও আমাদের দেশে ১৮-২৪ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হতে দেখা যায়।
খাঁটি সোনা চেনার সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হলমার্ক। এ জন্য সোনা কেনার আগে হলমার্ক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। হলমার্ক চিহ্ন সাধারণত গয়নার ভেতরের অংশে থাকে। যেখানে ক্যারেট নাম্বার লেখা থাকে। নাম্বার যত উপরের দিকে থাকবে- মানের দিক থেকে সোনার মান তত ভালো।
খাঁটি সোনা চিনবেন যেভাবে
সোনা খাঁটি কি না পরীক্ষা করার আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করা। এ অ্যাসিড অন্য সব ধাতুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করলেও সোনার সঙ্গে হয় না। এ পদ্ধতিতে সোনার কয়েন থেকে ঘষে তার ওপর ড্রপারে নাইট্রিক অ্যাসিড ফোঁটা ফোঁটা করে ফেলতে হবে। সোনা খাঁটি হলে রং পরিবর্তন হবে না।
শুধু পানিতেও সোনা পরীক্ষা করা যায়। এর জন্য প্রথমে বড় আকৃতির একটি গামলায় দুই গ্লাস পানি দিতে হবে। এরপর সোনার গহনা পানিতে ছেড়ে দিন। দেখুন সোনা ভাসে কিনা। ভাসলে সোনা নকল। কারণ খাঁটি সোনা পানিতে তাড়াতাড়ি ডুবে যায়।
চুম্বুকের সাহায্যে সোনা পরীক্ষা করা যায়। এর জন্য শক্তিশালী চুম্বকের সাহায্য নিতে হবে। এক হাতে সোনার গহনা নিন, অন্য হাতে চুম্বক। এরপর গহনার সঙ্গে স্পর্শ করান। যদি গহনা চুম্বক আকর্ষণ করে, বুঝতে হবে সোনা আসল নয়। কারণ খাঁটি সোনা কখনোই চুম্বক আকর্ষণ করে না।
সিরামিকে প্লেটের সাহায্যে সোনা খাঁটি কিনা পরীক্ষা করা যায়। এ পরীক্ষা করতে প্রথমেই একটা সিরামিকের প্লেট নিতে হবে। এরপর গয়না প্লেটের সঙ্গে আস্তে আস্তে ঘষুন। এ সময় যদি দেখা যায়, প্লেটে কালচে দাগ পড়েছে বুঝতে হবে সোনা খাঁটি নয়। কারণ খাঁটি সোনা দিয়ে ঘসলে দাগ পড়বে না।