বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাড়ালো ২ হাজার ৭৮৪ ডলার

চলতি অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে হবে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ।সোমবার (২০ মে) জিডিপির সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বিবিএস বলছে, চলতি অর্থবছর শেষ হতে আর কিছুদিন বাকি আছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশে দাঁড়াবে, যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এছাড়া মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৭৮৪ ডলার হয়েছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ২ হাজার ৭৪৯ ডলার। ফলে বছরের ব্যবধানে ৩৫ ডলার বেড়েছে। বর্তমানে টাকার হিসেবে মাথাপিছু আয় ৩ লাখ ৬ হাজার ১৪৪ টাকা, যা গত অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকা।

তাহলে সোনা কি ডলারের বিকল্প হয়ে উঠেছে?আপনি কি মনে করেন?

বিশ্বজুড়ে জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ৩৫০ ডলারের ওপরে বেড়েছে। গত শুক্রবার বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি আউন্স দুই হাজার ৪১৪ ডলার।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সোনার দামের এ উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ক্রয়। বিশেষত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ডলার ছেড়ে সোনায় ভরসা রাখতে চাইছে দেশগুলো। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সোনা ক্রয় বাড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। টানা ১৪ বছর সোনা ক্রয় অব্যাহত রেখেছে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো।

ফলে প্রশ্ন উঠেছে বৈশ্বিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসেবে সোনা কি ডলারের বিকল্প হয়ে উঠেছে?

মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ : বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক সংকট, পাশাপাশি আমেরিকার অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা, যুদ্ধ ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে মার্কিন ডলারে আস্থা কমেছে বিনিয়োগকারীদের। তাঁরা নিরাপদ সঞ্চয় খুঁজছেন, সেই স্থানটি দখল করে নিয়েছে সোনা। বিশেষত বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যেখানে বাণিজ্যের জন্য ডলারের বিপুল মজুদ রাখত, তারাই এখন ডলার ছেড়ে সোনা কিনছে। ফিন্যানশিয়াল টাইমসের বিশ্লেষক হ্যারি ডেম্পসির মতে, বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতি এখন যেদিকে যাচ্ছে, তাতে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে সোনাকেই বেছে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

ডলারে আস্থা কমছে : বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রিজার্ভ ডলারে হলেও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ডলারের ওপর থেকে আস্থা কমছে। বিশ্ব রাজনীতির টালমাটাল অবস্থা, রাশিয়া-চীনের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্যে জড়িয়ে থাকা দেশগুলোও লেনদেনের ক্ষেত্রে বিকল্প খুঁজছে। পরিস্থিতি আরো জটিল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে থাকা রাশিয়ার রিজার্ভ বাজেয়াপ্ত করায়। এই অবস্থায় অন্যান্য দেশও ভাবছে, তারাও রাশিয়ার মতো ঝামেলায় পড়তে পারে যেকোনো সময়। এ কারণে এসব দেশ দ্বিমুখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমত, এসব দেশ স্থানীয় বা নিজস্ব মুদ্রায় লেনদেনের পরিমাণ বাড়াচ্ছে এবং দ্বিতীয়ত সোনার মজুদ বাড়াচ্ছে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলে ৪৫০.১ টন সোনা কিনেছিল। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১৩৫.৭ টনে এবং ২০২৩ সালে দেশগুলোর সোনা কেনার পরিমাণ ছিল ১০৩৭ টন। সব মিলিয়ে বিগত বছরগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা কেনার নজিরবিহীন আকাঙ্ক্ষা ডলারের প্রতি আস্থাহীনতাই স্পষ্ট করছে।

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মোট সোনা কিনেছে ২৯০ টন। সোনার মজুদ সবচেয়ে বেশি বাড়িয়েছে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৩০.১২ টন, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাড়িয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২৭.০৬ টন, তৃতীয় সর্বোচ্চ ভারত বাড়িয়েছে ১৮.৫১ টন, কাজাখস্তান বাড়িয়েছে ১৬.৩৯ টন, সিঙ্গাপুর বাড়িয়েছে ৬.৫৭ টন।

চাহিদার কারণে দামও বাড়ছে : বিগত কয়েক বছরে সোনার চাহিদা বাড়ার কারণে দামও বেড়েছে সমানতালে। ১৯৮৮ সালে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ৪৩৭ ডলার, ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ২৬৮.৯৩ ডলারে অর্থাৎ এই সময় প্রতিবছর গড়ে সোনার দাম বেড়েছে ৩.৬১ শতাংশ হারে। কিন্তু ২০২৪ সালে এসে সোনার দাম বেড়ে হয় প্রতি আউন্স দুই হাজার ৪১৪ ডলার। এতে দেখা যায়, গত ছয় বছরে সোনার বার্ষিক দাম বেড়েছে গড়ে ৯.৭ শতাংশ করে।

সোনার রিজার্ভে শীর্ষ দেশগুলো : ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী, সোনার রিজার্ভের দিক থেকে বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সোনার রিজার্ভ আট হাজার ১৩৩.৪৬ টন, যা মোট রিজার্ভের ৭১.৩৩ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে জার্মানি, দেশটির সোনার রিজার্ভ তিন হাজার ৩৫২.৩১ টন, যা মোট রিজার্ভের ৭০.৫৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে ইতালি, দেশটির সোনার রিজার্ভ দুই হাজার ৪৫১.৮৪ টন, যা মোট রিজার্ভের ৬৭.৫৫ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে ফ্রান্সের সোনার রিজার্ভ দুই হাজার ৪৩৬.৯১ টন, যা মোট রিজার্ভের ৬৮.৬১ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটির সোনার রিজার্ভ দুই হাজার ৩৩২.৭৪ টন, যা মোট রিজার্ভের ২৮.১৪ শতাংশ।

সূত্র : রয়টার্স, সিএনবিসি, ট্রেডিং ইকোনমিকস, ফোর্বস

দুবাই প্রবাসীর সঙ্গে প্রতরণার অভিযোগ প্রেমিকার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রামের ছেলে তহিদুল ইসলাম রাসেল। প্রবাসে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় সীমা আক্তার শান্তা নামের এক নারীর সাথে। পরিচয় গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। ভুক্তভোগী তহিদুল ইসলাম বিয়ের কিছুদিন পরেই বুঝতে পারেন এটি বিয়ে নয় বরং এটি একটি প্রতারণা।

দুবাইতে প্রবাসী তহিদ ভালো পোষ্টে চাকরি করতেন।মেয়ের বাবা দুলাল ও মা নাজমা বেগম তাকে ভালো চাকরি রেখে দেশে আসতে বাধ্য করেন। দিনের পর দিন তাকে মুঠোফোনে অতিষ্ঠ করে দেশে আসতে বাধ্য করেন।

চার মাস তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলে। নিতুর বাবা-মা মিলে ওই প্রবাসী যুবকের কাছ থেকে জায়গা-জমির সমস্যার কথা বলে ছলনা করে প্রবাসী যুবক তহিদের থেকে প্রথমে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আরো অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী তহিদ জানান, ওই প্রতারক মা-বাবা এবং তার মেয়ের পাল্লায় পড়ে তার কাছে টাকা না থাকা সত্ত্বেও অন্যের কাছ থেকে এই ১০ লক্ষ টাকা ঋণ করে পাঠান তাদের জন্য। পরে আবার জায়গা জমির সমস্যা কথা বলে দ্বিতীয় দফায় পাঁচ লক্ষ টাকা পাঠান। পরে আবারও ছলনাময়ী প্রতারক মেয়ে শান্তা শপিং ও অন্যান্য কেনাকাটার জন্য চার লক্ষ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয় ওই প্রতারক বাবা-মা এবং তার মেয়ে শান্তা। পুরো বিষয়টি আমার পরিবারের কেউ জানতো না । এক পর্যায়ে আমার বাবা-মা শান্তাকে দেখতে চাইলে আমি আমার ছোট ভাইকে পাঠাই। কিন্তু আমার ছোট ভাই শান্তাকে দেখে হবু ভাবি হিসাবে পছন্দ হয়নি বলে আমার বাবা মার কাছে জানায়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শান্তার বাবা-মা আমাকে চাপ দিতে থাকে আমার পরিবারকে ম্যানেজ করার জন্য। এক পর্যায়ে ওই প্রতারক বাবা-মা আমার পরিবারকে বারংবার ফোন দেয়। এক পর্যায়ে আমার বাবা মাকে বেয়াই-বেয়াইন বলে সম্বোধন করতে থাকেন। এরই এক পর্যায়ে আমার বাবা-মাকে তাদের মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে বিয়ে করাতে বাধ্য করে।

তিনি আরও বলেন, বিয়ের সময় মেয়ে পক্ষ ভিডিও কলে আমার পরিবারের কাছে কাবিননামা বাবদ ১৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে আমার পরিবার দশ লক্ষ টাকায় বিষয়টির মীমাংসা করেন। মূলত এই বিয়ের নাটকটি ছিল ওই প্রতারক চক্রের পূর্বপরিকল্পিত একটি ছক।

পরে সীমা আক্তার শান্তা বেশ কিছু গয়নার ছবি তুলে বিদেশে আমার কাছে পাঠায়। গয়নাগুলোর ওজন প্রায় ৮ ভরি ছিল। তখন আমি দুবাই থেকে গয়না গুলো কিনে নিয়ে আসি এবং বাসর রাতে তাকে উপহার হিসেবে দিই। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই আমাকে ডিভোর্সের ভয় দেখিয়ে আরও অর্থ আত্মসাৎ করতে শান্তা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অজুহাতে ওই প্রতারক মা ,বাবা ও মেয়ে শান্তা আমার কাছ থেকে মোট ২৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে আমাকে সর্বস্বান্ত করে ।

গত ১/৪/২৪ ইং তারিখে সিমা আক্তার শান্তার সাথে আরেকবারেকভাবে চট্টগ্রামের একটি রেস্টুরেন্টে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই। চট্টগ্রামে শান্তাদের বাড়ির ফ্লাটে আমার ফুলশয্যার রাত হয়। আমাদের বাড়ি থেকে অনুষ্ঠানের ওই রেস্টুরেন্টটি দূরত্ব একটু বেশি থাকায়

আমার বাবা-মা ওই হোটেলে এই রাত্রে যাপন করে। পরদিন সন্ধ্যার দিকে শান্তার বাবা-মা আমার বাবা মাকে বলে বেয়াই আমাদের বাড়িতে আজকে ইফতার করতে আসবেন। কথা অনুযায়ী আবার বাবা-মা পরদিন অর্থাৎ এপ্রিল মাসের ২ তারিখে শান্তদের বাসায় ইফতারের জন্য যায়। তখন আমি এই শান্তদের শোয়ার কক্ষেই ছিলাম। এরপর শুরু হয় প্রতারক চক্রদের কুটকৌশল। তারা ইফতারের সময় আবার বাবা মাকে কেবল এক গ্লাস পানি দেয়। এরপর হঠাৎ শান্তার মা নাজমা বেগম তার এক আত্মীয়কে নিয়ে হঠাৎ আমার মা বাবাকে বলে আপনাদের জিনিসপত্র নিয়ে ছেলে সহ আমার বাসা থেকে চলে যান । অনেক ঝগড়াঝাটি করে রাতে দুইটার দিকে আমাদেরকে শান্তদের বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।

এর পরের দিন শান্তার বাবা তার কয়েক আত্মীয় স্বজনকে নিয়ে আমাদের গ্রামে গিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলে আমার নামে মেয়েকে আমি তালাক দিয়ে দিব ওই ছেলের কাছ থেকে। তখন আমার এলাকাবাসী শান্তার বাবা দুলাল মিয়াকে প্রশ্ন করে আপনি পাঁচ ছয় বার এলাকায় এসে ছেলে সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েই তো বিয়ে-শাদীর ব্যবস্থা করেছেন হঠাৎ বিয়ের একদিন পরে এসব কি নাটক করতেছেন। এলাকাবাসীর কথার চাপে পড়ে শান্তার বাবা আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যায়।

প্রবাস ফেরত যুবক তহিদ কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন বিয়ের অনুষ্ঠানের যাতায়াতের খরচ এবং রেস্টুরেন্টের খরচ বাবদ পুরো টাকাটাই আমি পরিশোধ করি। আমার এখন পথে বসার মত অবস্থা। ওই প্রতারক বাটপারদের ফাঁদে পড়ে আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি। আমি রাষ্ট্রের কাছে এ বিষয়ে সুবিচার প্রার্থনা করি। এবং এই সাথে আমি এটাও চাই ওই প্রতারক বাটপার মা মেয়ের চক্ররা যেন ভবিষ্যতে আর কোন যুবককে তাদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত না করতে পারে। আমার বিয়ের পরের দিন আমার বৃদ্ধ বাবা মাকে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে অপমান করে বের করে দেওয়ার বিষয়টিও তাদের একটি প্রতারণার অংশ ছিল। আমি এই প্রতারক চক্র পরিবারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে তাদের প্রতারক চক্রের মুখোশ খুলে দিতে চাই।

খাঁটি সোনা চিনবেন যে ৫ উপায়ে

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়- বছরে একাধিকবার সোনার দাম ওঠানামা করে। তার পর থেকে নেই বেচাবিক্রি। এছাড়াও অনেকের কাছে সম্পদ হিসেবে সোনা সংগ্রহে আগ্রহ দেখা যায়। অনেক সময় কম দামে সোনা ক্রয়ের আশায় অনেকের পড়তে হয় প্রতারণার খপ্পরে। বহুল প্রচলিত কষ্টিপাথরে সোনা পরক করেও ঠকতে হয়। তাই জানা প্রয়োজন খাঁটি সোনা চেনার কৌশল।

এর আগে জানতে হবে- সোনা মাপা হয় ক্যারেটে। এ নিয়মে সোনা পরিমাপে ১০ ক্যারট, ১৪ ক্যারট, ১৮ ক্যারট, ২২ ক্যারেট এবং ২৪ ক্যারেটের সোনা পাওয়া যায়। এছাড়াও আমাদের দেশে ১৮-২৪ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হতে দেখা যায়।

খাঁটি সোনা চেনার সবচেয়ে উপযোগী মাধ্যম হলমার্ক। এ জন্য সোনা কেনার আগে হলমার্ক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। হলমার্ক চিহ্ন সাধারণত গয়নার ভেতরের অংশে থাকে। যেখানে ক্যারেট নাম্বার লেখা থাকে। নাম্বার যত উপরের দিকে থাকবে- মানের দিক থেকে সোনার মান তত ভালো।

খাঁটি সোনা চিনবেন যেভাবে

সোনা খাঁটি কি না পরীক্ষা করার আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পরীক্ষা করা। এ অ্যাসিড অন্য সব ধাতুর সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করলেও সোনার সঙ্গে হয় না। এ পদ্ধতিতে সোনার কয়েন থেকে ঘষে তার ওপর ড্রপারে নাইট্রিক অ্যাসিড ফোঁটা ফোঁটা করে ফেলতে হবে। সোনা খাঁটি হলে রং পরিবর্তন হবে না।

শুধু পানিতেও সোনা পরীক্ষা করা যায়। এর জন্য প্রথমে বড় আকৃতির একটি গামলায় দুই গ্লাস পানি দিতে হবে। এরপর সোনার গহনা পানিতে ছেড়ে দিন। দেখুন সোনা ভাসে কিনা। ভাসলে সোনা নকল। কারণ খাঁটি সোনা পানিতে তাড়াতাড়ি ডুবে যায়।

চুম্বুকের সাহায্যে সোনা পরীক্ষা করা যায়। এর জন্য শক্তিশালী চুম্বকের সাহায্য নিতে হবে। এক হাতে সোনার গহনা নিন, অন্য হাতে চুম্বক। এরপর গহনার সঙ্গে স্পর্শ করান। যদি গহনা চুম্বক আকর্ষণ করে, বুঝতে হবে সোনা আসল নয়। কারণ খাঁটি সোনা কখনোই চুম্বক আকর্ষণ করে না।

সিরামিকে প্লেটের সাহায্যে সোনা খাঁটি কিনা পরীক্ষা করা যায়। এ পরীক্ষা করতে প্রথমেই একটা সিরামিকের প্লেট নিতে হবে। এরপর গয়না প্লেটের সঙ্গে আস্তে আস্তে ঘষুন। এ সময় যদি দেখা যায়, প্লেটে কালচে দাগ পড়েছে বুঝতে হবে সোনা খাঁটি নয়। কারণ খাঁটি সোনা দিয়ে ঘসলে দাগ পড়বে না।

আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া কিনবে বাংলাদেশ সরকার

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে অষ্টম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কিনবে সরকার৷

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটা প্রস্তাব ছিল রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির৷ এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে৷ এর ক্রয়মূল্য ৯৫ কোটি ৭০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা৷

“প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ২৭১.৫০ মার্কিন ডলার৷ এর পূর্বমূল্য ছিল ২৮৪.১৭ মার্কিন ডলার৷ সুপারিশকৃত দরদাতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড৷ এটির বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)৷

দুই দিন-দুই রাত ভূমধ্যসাগর ভেসেছিলেন ৩৫ বাংলাদেশি!

ভূমধ্যসাগরীয় মাল্টা উপকূলে দুর্দশাগ্রস্ত নৌকায় থাকা ৩৫ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছে মানবিক উদ্ধার জাহাজ ওশান ভাইকিং।

রোববার (১৯ মে) রাত থেকে সোমবার (২০ মে) সকালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করে এনজিও এসওএস মেডিটারানের উদ্ধার জাহাজ ওশান ভাইকিং।

অভিবাসীদের সবাই পুরুষ। তারা লিবিয়ার বেনগাজি উপকূল থেকে ফাইবারগ্লাসের নৌকায় রওনা হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে এএফপি। মাল্টা এবং ইটালির যৌথ অনুসন্ধান জোন থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে জাহাজে তোলা হয়েছে।

জাহাজে তোলার পর সবাইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অভিবাসীদের মধ্যে অনেকেই হাইপোথার্মিয়া এবং গুরুতর ডিহাইড্রেশনে ভুগছিলেন। তাদের সবাইকে তাৎক্ষণিক গরম কম্বল, সুপেয় পানি, খাবার এবং কাপড় দিয়েছে ওশান ভাইকিংয়ের কর্মীরা।

উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা এএফপিকে জানিয়েছে, তারা কমপক্ষে দুই দিন এবং দুই রাত সমুদ্রে ভেসেছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় এনজিও অ্যালার্ম ফোন ঝুঁকিতে থাকা নৌকার ব্যাপারে জানালে এসওএস মেডিটারানে তাদের উদ্ধার জাহাজকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠায়।

দক্ষিণ ফ্রান্সের মার্সেই ভিত্তিক এই এনজিওটি এএফপিকে জানিয়েছে, এই উদ্ধার অভিযানে আগে জাহাজটি ইটালির সিসিলির দিকে যাচ্ছিল।

ইটালি কর্তৃপক্ষ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের অ্যাড্রিয়াটিক উপকূলে দেশটির অটোনা বন্দরে নামানোর অনুমতি দিয়েছে। ওই বন্দরে যেতে আড়াই দিনেরও বেশি সময় লাগবে। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ওশান ভাইকিং জাহাজের পরিচালনা সংস্থা।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে তিন হাজার ১০৫ জন অভিবাসী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন।

খবরঃ এএফপি।

ফুটপাত থেকে মাইক্রোসফটের ডিজাইনার হলেন যে নারী!

শাহিনা আতরওয়ালা। ছোটবেলায় মুম্বাইয়ের বান্দ্রা রেলস্টেশনের কাছে একটি ঘিঞ্জি এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে। মেয়ে পড়াশোনা করতে চেয়েছিল বলে কষ্ট করে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন।

কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ ছিল শাহিনার। মেয়ের ইচ্ছা পূরণ করতে তার বাবা কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও ভর্তি করিয়েছিলেন। কিন্তু অর্থাভাবে মাঝপথে কম্পিউটার শেখা বন্ধ হয়ে যায় শাহিনার। মাথার উপর থেকে ছাদও সরে যায় শাহিনাদের। ছোট ঘর ছেড়ে ফুটপাথে গিয়ে সংসার গড়ে তোলেন তারা। তবুও হার মানেননি শাহিনা। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি কম্পিউটার শিখবেন বলে টাকা বাঁচাতে শুরু করেন তিনি।

প্রতিদিন এক বেলা খাবার খেতেন না শাহিনা। খাবারের টাকা সঞ্চয় করতেন তিনি। এমনকি, স্কুলে যাতায়াতের জন্য বাস ছেড়ে হেঁটে যেতেন তিনি। বাস এবং খাওয়া দাওয়ার খরচ বাঁচিয়ে আবার কম্পিউটার শেখার জন্য ভর্তি হন শাহিনা।

শাহিনা কম্পিউটারে দক্ষ হয়েছেন দেখে তার বাবা সঞ্চিত অর্থ খরচ করে মেয়ের জন্য একটি পুরোনো কম্পিউটার কেনেন। বন্ধুবান্ধবদের থেকে ধারও নেন। বাড়িতে বসেই কম্পিউটারে কাজ করতে শুরু করেন শাহিনা।

স্কুলের পড়াশোনা শেষ করার পর মুম্বাইয়ের একটি কলেজে ভর্তি হন তিনি। সেখান থেকে বিকম ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। তারপর এনআইআইটিতে ভর্তি হন শাহিনা। ভিজুয়াল কমিউনিকেশন অ্যান্ড ডিজাইন নিয়ে ডিপ্লোমা করেন তিনি।

একাধিক নামী সংস্থার তরফে চাকরির প্রস্তাব পান শাহিনা। শেষ পর্যন্ত মাইক্রোসফ্‌টে চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বর্তমানে এই সংস্থায় প্রধান ইউএক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।

২০২১ সালে মুম্বাইয়ে নিজের ফ্ল্যাট কেনেন শাহিনা। সামাজিক মাধ্যমে নিজের জীবনের খুঁটিনাটি প্রায়ই পোস্ট করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছিলেন, ফুটপাথের জীবন বড়ই কঠিন। আমাকে লিঙ্গবৈষম্য থেকে যৌন হেনস্থার শিকার পর্যন্ত হতে হয়েছে। কিন্তু আমি হার মানিনি। আমি শুধু ভাবতাম, নিজের জন্য অন্য জীবন তৈরি করতে হবে।

ডিজাইনিং নিয়ে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর মুম্বাইয়ের একটি কার এক্সপোয় অংশগ্রহণ করেন শাহিনা। বেঙ্গালুরুতে জুমকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় সেখানে একটি স্কুটারের কাঠামো তৈরি করে দেখান তিনি। তার পর রাতারাতি পরিচিতি তৈরি হয়ে যায় তার।

একাধিক জনপ্রিয় সংস্থা থেকে ডিজাইনিংয়ের জন্য শাহিনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অতিথি হয়ে পড়ুয়াদের ডিজাইনিং নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন তিনি।

অর্থাভাবের কারণে যে কিশোরীরা মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, তাদের দায়িত্ব নিয়ে একটি সংস্থা খুলেছেন শাহিনা। তিনি যে পথে একা লড়াই করে এগিয়ে গিয়েছেন, অন্য মেয়েরাও যেন সেই পথে হেঁটে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন শাহিনা।

রাইসির দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন, লাখো মানুষের ঢল

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্যান্য সহযাত্রীদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

লাখো ইরানি নাগরিক প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সাত সহযাত্রীর দাফনে যোগ দিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শহর তাবরিজের একটি কেন্দ্রীয় স্কয়ার থেকে পায়ে হেঁটে রওনা হন। এ সময়য় তাদের হাতে ছিল ইরানের পতাকা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্টের ছবি।

গত রোববার ইরান-আজারবাইজান সীমান্তে একটি বাঁধের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রেসিডেন্ট রাইসির ফেরার সময় তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।

পরে সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানকারী দল।

এই দুর্ঘটনার ফলে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাশাপাশি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, সেইসাথে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালিক রহমেতি এবং তাবরিজ প্রদেশের ইমাম আয়াতুল্লাহ আলী হাশিমের মৃত্যু হয়েছে।

রাইসির মৃত্যুর পর ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। মোখবার দেশের দায়িত্ব গ্রহণের ৫০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবেন।

এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন বর্তমান উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি।

দুবাই কেলেঙ্কারির ঘটনা জানেন কি?

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই দুনিয়ার শীর্ষ ধনী দেশগুলোর একটি। এক সময়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা ছিলেন নিতান্তই গরিব। তেল ও গ্যাসের কল্যাণে সে দুবাই এখন মরু প্রান্তরে গড়ে ওঠা একখণ্ড বেহেশত হয়ে উঠেছে কয়েক দশক ধরে। দুনিয়ার বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক, আমলা ও ব্যবসায়ীদের অসৎ অংশের অর্থ পাচার এবং সম্পদ মজুদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে ওই উপসাগরীয় মরুরাজ্যটি।

তারা এখানে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসৎ রাজনীতিক, ব্যাংকের অর্থ লুটে নেওয়া ঋণখেলাপি এবং অসৎ আমলাদের হিস্সাও কম নয়। অতি সম্প্রতি একটি বৈশ্বিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা প্রকল্প ‘দুবাই আনলকড’ শীর্ষক প্রতিবেদনে দুবাইয়ে থাকা বিশ্বের সম্পদশালীদের গোপন সম্পদের তথ্য ফাঁস করে দেয়। ফাঁস হওয়া তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশির নাম রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক কেন্দ্র এ মরু শহরে বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য বিপুল সম্পদ গড়েছেন তারা।

ব্যাংক লুট করে বিসমিল্লাহ গ্রুপের খাজা সোলায়মান আনোয়ার চৌধুরীসহ অন্তত ২০ ঋণখেলাপির সম্পদ এখন দুবাইয়ে। তালিকায় আরও রয়েছে সাবেক মন্ত্রী, রাজনীতিক, অপরাধী এবং অর্থ পাচারকারীদের নাম। ওয়ান-ইলেভেনের প্রভাবশালী সাবেক সেনা কর্মকর্তারা সেখানেই অবস্থান করছেন। তাদের রয়েছে বাড়ি, দোকানসহ নানা ধরনের ব্যবসা। আমলাদের অনেকেই বিত্তের ঘাঁটি গড়েছেন দুবাইয়ে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক তালিকা অনুযায়ী আমিরাতে বাংলাদেশিদের নিবন্ধিত কোম্পানির সংখ্যা বাড়ছে। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন দুবাই চেম্বার অব কমার্সে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সদস্যপদ নেওয়ার হার ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

ছয় মাসে বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন ১ হাজার ৪৪টি কোম্পানি দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ নিয়েছে। দুবাই চেম্বারের সদস্যপদ পাওয়া বাংলাদেশিদের কোম্পানির মোট সংখ্যা এখন ১০ হাজার ৯৭৫টি। দুবাইয়ে যেসব বাংলাদেশি সম্পদ গড়ে তুলেছেন, তাদের সিংহভাগ অবৈধ পথে অর্জন করেছেন তা বলার সুযোগ নেই। দেশবাসীর আপত্তি সম্পদ পাচারকারীদের নিয়ে। সে লুটেরাদের চিহ্নিত করে কীভাবে তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে সরকারকে সক্রিয় হতে হবে।

মায়ের চিকিৎসা জন্য টাকা পাঠানো হলো না আমিরাত প্রবাসীর

বাংলাদেশে অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা চলছে। কথা ছিল মাসের বেতন পেলে টাকা পাঠাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা একমাত্র ছেলে। কিন্তু তার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন প্রবাসী এ বাংলাদেশি।নিহতের নাম শাহীন আহমদ নিজাম (৪০)। বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজানগর উপজেলার ধাইসার গ্রামে, বাবার নাম জিতু মিয়া।

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ শহরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিজাম নিহত হন।ওপরের তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন নিহতের আপন খালাতো ভাই আরেক প্রবাসী মোহাম্মদ নাসির মিয়া।

নাসির জানান, ওইদিন রাতে ফুজাইরাহর মোরাব্বায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে যান নিজাম। কেনাকাটার পর সাইকেলে করে আল কুরাইয়ায় তার বাসায় ফেরার সময় মোরাব্বা সেতুর কাছে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন তিনি। এসময় ফুজাইরাহ শহরের দিক থেকে আসা স্থানীয় আরবের চালানো একটি গাড়ি নিজামের সাইকেলে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই তার ‘মৃত্যু হয়’ বলে স্থানীয়রা জানায়। পুলিশ গাড়ির চালককে আটক করেছে এবং গাড়িটিও জব্দ করেছে।

নিজামের প্রতিবেশী ও বন্ধু আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি আবু সুফিয়ান জানান, স্থানীয় এক আরবের বাড়ির গৃহকর্মী ছিলেন নিজাম, কাজ করতেন ওই বাড়ির পাশের কৃষি খামারে। ৩ বছর ধরে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছিলেন, এর আগে ১০ বছর বাহরাইন প্রবাসী ছিলেন।

বাংলাদেশে নিজামের ৭ ও ৫ বছরের দুটি ছেলেশিশু, স্ত্রী ও মা রয়েছেন। বর্তমানে নিহতের লাশ খোরফাক্কান হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।