জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ পণ্য খালাসের জন্য অবশেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে।

সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহাজটিকে বহির্নোঙর থেকে জেটিতে বার্থিং দেওয়া হয়। এর আগে রোববার বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এটি হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল।

এদিকে জেটিতে ভিড়তে পেরে নাবিকরা উল্লাস প্রকাশ করেছেন। রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাসের প্রস্তুতি চলছিল। পণ্য খালাস শেষ হতে আরও ৬-৭ দিন লাগতে পারে। এরপরই জাহাজটির বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে দুবাই বন্দর ত্যাগের কথা রয়েছে। এমভি আবদুল্লাহ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন।

প্রতিষ্ঠানটির সিইও মেহেরুল করিম সোমবার রাতে যুগান্তরকে বলেন, ‘জাহাজ জেটিতে ভিড়েছে। আমরা নাবিকদের সবার সঙ্গে কথা বলছি। তারা সুস্থ আছেন। একটি অনিশ্চিত পরিস্থিতি কাটিয়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরে সবাই খুশি, তারা আনন্দ প্রকাশ করছেন।’

তিনি জানান, নাবিকদের কেউ শোর পাস নিয়ে দুবাইয়ে ঘুরতে বা মার্কেটিং করতে চাইলে, সেটি করতে পারবেন। জাহাজের ২৩ নাবিকের মধ্যে ২১ জনই এই জাহাজে করে দেশে ফিরবেন। দুইজন দুবাই থেকে ফ্লাইটে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তাদের ফ্লাইটে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। নাবিকদের সবাই বাংলাদেশি।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে বাল্ক ক্যারিয়ার এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাচ্ছিল। গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার মোগাদিসু থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে এটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জলদস্যুরা জোর করে অস্ত্রের মুখে সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল সোমলি দস্যুরা জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয়।