গাড়ির ভেতর থেকে তিন শিশুসহ একই পরিবারের সাত সদস্যের মৃ*তদেহ উদ্ধার
হরিয়ানার পঞ্চকুলায়
একটি মর্মান্তিক ঘটনায়, মঙ্গলবার হরিয়ানার পঞ্চকুলার সেক্টর ২৭-এর একটি খালি জমিতে পার্ক করা একটি গাড়িতে তিন নাবালকসহ একই পরিবারের সাত সদস্যের মৃ*তদেহ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে আর্থিক অনটনের কারণে পরিবারটি আ*ত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, নি’হতদের মধ্যে ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী দুই নাবালিকা মেয়ে, তাদের ১৪ বছর বয়সী ভাই, তাদের বাবা-মা এবং দাদা-দাদি রয়েছেন। সাতজনকেই একটি পার্ক করা গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, যার পিছনের কাচটি তোয়ালে দিয়ে ঢাকা ছিল, সম্ভবত বাইরে থেকে দৃশ্যমানতা রোধ করার জন্য।
শুরুতে মাত্র একজন বেঁচে যান
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিক্রম নেহরা জানিয়েছেন যে, যখন নি’হতদের প্রথমে পঞ্চকুলার ওজস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন কেবল শিশুদের বাবা জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে, চিকিৎসার সময় তিনি মা’রা যান।
পুলিশ নি’হতদের মধ্যে দুজনকে শনাক্ত করেছে প্রবীণ মিত্তল, যিনি দেরাদুনে একটি ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেল ব্যবসা পরিচালনা করতেন বলে জানা গেছে, এবং তার বাবা দেশরাজ মিত্তল। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে পরিবারটি উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সাথে লড়াই করছিল, যা সম্ভবত তাদের এই ম’র্মান্তিক পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (পঞ্চকুলা) হিমাদ্রি কৌশিক নিশ্চিত করেছেন যে নি’হত সাতজনই একই পরিবারের। “আমরা যখন হাসপাতালে পৌঁছাই, তখন আমাদের জানানো হয় যে ওজাস হাসপাতালে আনা ছয়জন মা*রা গেছেন। সেক্টর ৬-এর সিভিল হাসপাতালে আনা আরেকজনকেও মৃ’ত ঘোষণা করা হয়েছে,” তিনি বলেন। “প্রাথমিকভাবে, এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। সমস্ত প্রাসঙ্গিক দল ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং বিস্তারিত তদন্ত চলছে।”
উত্তরাখণ্ডে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে পরিবারটি চণ্ডীগড়ে বসবাস করত বলে জানা গেছে। একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, এবং মৃ’ত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য পুলিশ সমস্ত দিক পরীক্ষা করছে।