দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট দূরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উত্তরে অবস্থিত রাস আল খাইমাহ বা আরএকে অঞ্চলের উত্তরে সুদীর্ঘ বিস্তৃত মরুভূমির এবং পশ্চিমে পারস্য উপসাগরের উপকূলে তৈরি হচ্ছে সারিবদ্ধ বিলাসবহুল ভিলা।

এর কয়েক মাইল দূরে ৩শ’ ৯ কোপি ডলারের গেমিং রিসর্টের জন্য একটি প্রকল্পের পরিকল্পনা চলছে। এই এলাকাটি স্থানটি তার পাহাড়ের চূড়াগুলি এবং সিরামিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তবে, এখন রাস আল খাইমাহকে উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের জন্য একটি আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি রাশিয়া থেকে চেক প্রজাতন্ত্র পর্যন্ত দেশগুলির পাঁচ তারকা হোটেল, শিল্পপতি এবং বৈচিত্র সন্ধানী পর্যটকদের মনযোগ আকর্ষণ করছে।

গত বছর, আমিরাত অঞ্চলটি রাতারাতি ১১ লাখেরও বেশি পর্যটক আগমনের বার্ষিক রেকর্ড স্থাপন করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬শতাংশ বেশি। দুবাই ভ্রমণকারীদের শীর্ষে রয়েছে রাশিয়ানরা। তবে, আল খাইমাহ্ কাজাখস্তান এবং যুক্তরাজ্য থেকেও উল্লেখযোগ্য হারে পর্যটক টেনেছে।

দুবাইয়ের অভিবাসন পরামর্শদাতা এবং উপদেষ্টারা বলছেন যে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘নাগরিকত্ব-দ্বারা-বিনিয়োগ’ কর্মসূচির মাধ্যমে আরও ধনী ব্যক্তিকেদর আমিরাতে আনার প্রচেষ্টা থেকে দেশটি উপকৃত হতে পারে। একই সময়ে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ডিজিটাল এবং ভার্চুয়াল সম্পদ কোম্পানিগুলির জন্য একটি নতুন ফ্রি জোন তৈরি করছে।

দেশটি বলেছে যে, তার নাগরিকত্ব প্রকল্পটিতে অন্যান্য বিভাগ থেকে নির্বাচিত বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং বিশেষজ্ঞদের নাগরিকত্বের জন্য মনোনীত করার সুযোগ রয়েছে। অনেকে বলছেন, আরএকে ধীরে ধীরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আতিথেয়তার পরবর্তী পছন্দ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথে রয়েছে।

আরএকে আইসিসি ইতিমধ্যেই হাজার হাজার বিদেশী সংস্থার নিবন্ধন ও অন্তর্ভুক্ত করেছে। এছাড়াও রাস আল খাইমাহর জন্য একটি ‘সুপার-ইয়ট স্টোরেজ’ সুবিধার পরিকল্পনা রয়েছে এবং এলাকাটিকে একটি ইয়ট উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা রয়েছে। প্রাক্তন জেষ্ঠ্য গোল্ডম্যান স্যাক্স গ্রুপ ইনকর্পোরেটেড কর্মকর্তা, ব্যাঙ্কার এবং আমিরাতের সার্বভৌম সম্পদ তহবিল ‘রাস আল খাইমাহ্ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর প্রধান প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী ইজ্জাত দাজানি বলেছেন,

‹কেউ কেউ এখন এটিকে উপসাগরের লাস ভেগাস বলতে পছন্দ করে, তবে শেষ পর্যন্ত আরএকের আরএকেই হওয়া উচিত যেহেতু এর দিকনির্দেশনা তৈরি করার জন্য এর প্রচুরতা রয়েছে। সরকার আর্থিক লাভ, সামাজিক লাভ এবং সাংস্কৃতিক লাভের একাধিক উপায়ে মূলধন পরিশোধের দিকে নজর রাখবে।’ সূত্র:ব্লমবার্গ।