সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের স্মার্টকার্ড জালিয়াতি,অভিযুক্তদের নামে মামলা

বৈধভাবে বিদেশে যেতে দেশের সব কর্মীকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোয় (বিএমইটি) নিবন্ধন করে স্মার্টকার্ড নিতে হয়। তবে এই স্মার্টকার্ড নিয়ে প্রায়ই জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। নানান অনিয়মে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধের পর এবার আরব আমিরাতের শ্রমিকদের জন্য নিয়মবহির্ভূতভাবে স্মার্টকার্ড বানানোর খবর মিলেছে।

এমন অপরাধের দায়ে বিএমইটির সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. সাইদুল ইসলাম ও কম্পিউটার অপারেটর মো. সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুদকের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার বাদী হয়ে সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের ঊর্ধ্বতন সূত্র বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছে।

আসামিদের নামে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা অতিরিক্ত তিন হাজার ৯৭৮টি স্মার্ট বিএমইটি কর্তৃক অবৈধভাবে ইস্যু করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।

আসামিরা অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে অন্যকে লাভবান ও নিজে লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়োগা অনুমোদনের অতিরিক্ত ডাটা এন্ট্রি দিয়ে পরস্পরের যোগসাজশে অতিরিক্ত স্মার্টকার্ড ইস্যুপূর্বক অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৮টি রিক্রুটিং এজেন্সির নামে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১২ মে পর্যন্ত সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নিয়োগানুমতির সংখ্যা দুই হাজার ৯৬০। কিন্তু বিএমইটির ইমিগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যার থেকে স্মার্টকার্ড ইস্যু হয়েছে ৬৯৩৮টি। অর্থাৎ অতিরিক্ত আরও ৩৯৭৮টি স্মার্টকার্ড অবৈধভাবে ইস্যু করা হয়েছে।

জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদক কর্মকর্তা বলেন, ইমিগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের এডিট, ডিলেট করে করে নথিতে মিথ্যা তথ্য, ভুল তথ্য উপস্থাপন করে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে বহির্গমন ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছে। বিএমইটির সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. সাইদুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানের ওই সফটওয়্যারের সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি আরও বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ওই সফটওয়্যারের ডাটাবেজে একমাত্র অ্যাক্সেস ছিল তার। তার এই অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করে অন্যকে লাভবান ও নিজেরা লাভবান হওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যে ডাটা ম্যানিপুলেশন করে অতিরিক্ত স্মার্টকার্ড ইস্যু করেছেন ও অন্যকে লাভবান করেছেন।