দুবাইয়ের শিক্ষকদের বিশ্বসেরা বানাতে ‘রোবট’ দিয়ে প্রশিক্ষণ
মানুষের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবার মানুষকেই শেখাবে। না, সাধারণ মানুষ নন, যারা অন্যদের জ্ঞানদান করেন সেই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বা রোবট। আর সেই উদ্যোগ নিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী ধনকুবেরদের চোখ ঝলসানো শহর দুবাই।
এমন উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, দুবাইয়ের স্কুলগুলোকে বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। শুধু তাই নয়, শিক্ষার ফলাফল উন্নয়নে এআই প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে সক্ষম হওয়া ১০ শিক্ষককে পুরস্কৃত করা হবে। ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল এআই রিট্রিটের পরবর্তী অনুষ্ঠানে সেই শিক্ষকদের দেওয়া হবে ১০ লাখ (১ মিলিয়ন) দিরহাম।
বিস্ময়কর এই ঘোষণা এসেছে দুবাইয়ের যুবরাজ, দুবাই নির্বাহী পর্ষদের চেয়ারম্যান ও দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কাছ থেকে। বুধবার (১২ জুন) এ নিয়ে ঘোষণা দিয়েছেন।
যুবরাজ শেখ হামদান বলেন, “এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের লক্ষ্য হচ্ছে, দুবাইয়ের শিক্ষকদের এআই দক্ষতাসম্পন্ন করা; যাতে তাদের পেশাগত সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অভিজ্ঞতাকে সমৃদ্ধ করতে পারেন। প্রত্যাশিত ভবিষ্যৎ, শিক্ষা খাতে উদ্ভাবন ও শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপদান এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে এ উদ্যোগ।”
দুবাইয়ের যুবরাজ আরও বলেন, “শিক্ষকেরা আমাদের জাতির অগ্রগতি ও উন্নয়নের মেরুদণ্ড। দুবাইয়ের ভবিষ্যৎ দৃষ্টিভঙ্গি অনুধাবনের ক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকা পালনকারী তারা। এআইভিত্তিক সমাধানের সুবিধা নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দুবাইয়ের স্কুলগুলোকে বিশ্বের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই।”
এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষকদের দক্ষ করে তোলার এমন উদ্যোগের তদারকিতে রয়েছে দুবাই সেন্টার ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। সহযোগিতায় রয়েছে নলেজ অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএইচডিআই)। সম্প্রতি দুবাই ইউনিভার্সাল ব্লুপ্রিন্ট ফর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (ডিইউবি.এআই) নামের একটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দুবাই। সেই কর্মসূচির সঙ্গে সংগতি রেখে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করার নতুন ওই উদ্যোগের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঘোষণায় যুবরাজ শেখ হামদান বলেন, “এআইসহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে মানিয়ে চলতে সক্ষম নতুন ধারার শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সক্ষম করে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দৃষ্টিভঙ্গিতে সমৃদ্ধ করাই এ উদ্যোগের লক্ষ্য।”