এয়ারপোর্টে নেমেই উড়ালসড়কে অ*পহরণের শি’কা’র হলেন আমিরাত প্রবাসী

অসুস্থ পিতাকে দেখার জন্য উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাই থেকে ছুটে আসেন ইমরান মুন্না নামে এক প্রবাসী। চট্টগ্রামের শাহ আমানত ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে নেমে বাড়ির উদ্দেশে ওঠেন সিএনজিচালিত অটোরিকশায়। অটোরিকশাটি পতেঙ্গা উড়াল সড়কে ওঠার পর অ**স্ত্রে*র মুখে মুন্না ও তার এক আত্মীয়কে অ*প*হ*র*ণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ১০টায় এই ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম শহরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে, তবে অ*পহরণকারী ব্যক্তিদের কাউকে আ*টক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় কোনো মা*মলাও হয়নি।

এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সুলতান মোহাম্মদ আহসান উদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল পতেঙ্গা হলেও ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় উদ্ধার হন। সেখানে মা*মলা করার কথা বললে অ*পহরণের শি*কা*র ইমরান রাজি হননি, তবে তাকে বুঝিয়ে মা*মলা করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ইসলাম বলেন, ইমরান মুন্নার গ্রামের বাড়ি হাটহাজারী নজুমিয়াহাট এলাকায়। এয়ারপোর্টে নেমে তিনি গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। সঙ্গে ছিলেন সুলাইমান নামের তার এক আত্মীয়। তাদের বহনকারী অটোরিকশা শহীদ ওয়াসিম আকরাম উড়াল সড়কে ওঠার পর একটি প্রাইভেট কার এসে গতি রোধ করে। এরপর দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাদের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আতুরার ডিপো এলাকার একটি পরিত্যক্ত কটন মিলের ভেতরে নিয়ে যায়।

অপহরণের বিষয়টি গোপনসূত্রে জানতে পারে পতেঙ্গা থানা–পুলিশ। পরে বায়েজিদসহ বিভিন্ন থানায় বিষয়টি জানায় তারা। এরপর খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথে দূর থেকে দেখে অ*পহরণকারীরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার করা হয় প্রবাসী মুন্নাকে। পরে তার আত্মীয় সুলাইমানকেও পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় প্রবাসীর লাগেজও। -চাটগাঁ নিউজ