দুবাই গ্লোবাল ভিলেজে বাংলাদেশের প্রবাসীরা উচ্ছ্বসিত

১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে প্রায় সাত মাসব্যাপী ২৯তম দুবাই গ্লোবাল ভিলেজ। চলবে ১১ মে ’২৫ পর্যন্ত। বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম এবারের মেলায় রয়েছে বিশ্বের ৩০টি দেশের প্যাভিলিয়ন। এরমধ্যে যৌথভাবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। তবে বিশ্বমানের এবারের আসরে বাংলাদেশের এককভাবে প্যাভিলিয়ন না থাকলেও দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের অংশগ্রহণে উচ্ছ্বসিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

প্রবাসীরা বলেন, বেসরকারি হিসেব মতে, আরব আমিরাতে ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশির অবস্থান। তাছাড়া রেমিট্যান্স বিবেচনায় আরব আমিরাত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার। সে কথাটি মাথায় রেখে এবারের মেলায় সরকার, স্থানীয় বাংলাদেশ মিশন, দেশের এবং প্রবাসের বড় বড় ব্যবসায়ী ও নীতি নির্ধারক মহলের সময়োচিত হস্তক্ষেপে এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সমন্বিত উদ্যোগে এককভাবে চমৎকার একটি বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উপহার দেয়া যেতো বিশ্বমানের এবারের মেলায়।

প্রবাসীরা বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু হওয়া বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম দুবাই গ্লোবাল ভিলেজে ২০০৭, ’১২, ’১৭ ও ’১৮ সালসহ বিগত কয়েকবারের আসরে একক বা কখনো অন্য দেশের সাথে যৌথভাবে ছোট পরিসরে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন অংশগ্রহণ করলেও পণ্য প্রদর্শনীর ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজার মানে প্যাভিলিয়নের স্টলগুলোতে দেশীয় নামিদামি কোম্পানিগুলোর জনপ্রিয় পণ্যগুলো অনুপস্থিত থাকায় তখন ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তেমন আকর্ষণ করাতে পারেনি। সে অভিজ্ঞতা থেকে এবারের মেলায় বাংলাদেশের একক বা নিজস্ব প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের নামিদামি কোম্পানিগুলোর পণ্যসামগ্রীর ব্যাপক উপস্থিতি থাকবে তাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা হাতের নাগালে পেয়ে দেশীয় পণ্য কিনে ধন্য হবেন।

দুবাই গ্লোবাল ভিলেজে বাংলাদেশের একক বা নিজস্ব প্যাভিলিয়ন থাকা প্রসঙ্গে আমিরাতস্থ বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, ব্যবসায়ী সংগঠন এবং দেশের নামিদামি বড় বড় কোম্পানিগুলোর এগিয়ে আসা প্রয়োজন। সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে সবাই এগিয়ে আসলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের একক প্যাভিলিয়ন থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মিশন কর্তৃপক্ষ।