মা*দক পাচারের অভিযোগে ২ এশিয়ান প্রবাসীকে যা*বজ্জীবন কা*রাদণ্ড ও নির্বাসন দিলো আমিরাত

ফুজাইরাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ৯২৫টি মা*দকদ্রব্য ট্যাবলেট পা*চার এবং রাখার অভিযোগে দুই এশিয়ান প্রবাসীকে (মেজর ক্রাইম ডিভিশন) যাবজ্জীবন কা*রাদণ্ড দিয়েছে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি, আদালত মা*দক বাজেয়াপ্ত, সাজা ভোগের পর দোষীদের নির্বাসন, আদালতের ফি নিষ্পত্তি এবং আদালত কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবীকে ২,০০০ দিরহাম প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।

কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে যে, পুরুষরা বড়িগুলির জন্য পরস্পরবিরোধী ব্যাখ্যা দিয়েছে — একজন দাবি করেছে যে এগুলি পেটের গ্যাসের চিকিৎসার জন্য তৈরি ছিল, অন্যজন বলেছে যে এগুলি যৌ*ন বর্ধক। তবে, ফরেনসিক বিশ্লেষণ নিশ্চিত করেছে যে ট্যাবলেটগুলিতে মরফিন এবং প্যাপাভেরিন রয়েছে, উভয়ই সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনের অধীনে তফসিল ১ নিয়ন্ত্রিত পদার্থ হিসাবে তালিকাভুক্ত।

আদালতের নথি থেকে জানা গেছে যে প্রথম আসামী, ৩০, গত জুনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্যাবলেটগুলি নিয়ে এসেছিল। ফুজাইরাহ বিমানবন্দরে পরিদর্শনের সময় কর্মকর্তারা তার ব্যাগে লুকানো বড়িগুলি আবিষ্কার করেন। তিনি স্বীকার করেন যে দ্বিতীয় আসামীর অনুরোধে তিনি ভারতের একটি বাজার থেকে ট্যাবলেটগুলি কিনেছিলেন, যিনি তার ভ্রমণ খরচ বহন করেছিলেন এবং বিনিময়ে তাকে ২,০০০ টাকা (দিরহাম ৮৩.২১) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

৩৬ বছর বয়সী দ্বিতীয় আসামীকে জুলাই মাসে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি তদন্তকারীদের বলেছিলেন যে তিনি প্রথম ব্যক্তিকে ৫ হাজার  টাকা (দিরহাম ২০৮) এর বিনিময়ে তৃতীয় পক্ষের কাছে ট্যাবলেটগুলি পৌঁছে দিতে বলেছিলেন, এবং পুরস্কার হিসেবে অতিরিক্ত ১০হাজার  টাকা (দিরহাম ৪১৬) দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে বড়িগুলি যৌ*ন উত্তেজক।

উভয় ব্যক্তিই ট্যাবলেটগুলিতে মা*দকদ্রব্য রয়েছে তা জানার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে, আদালত তাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য, মাদকদ্রব্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা এবং দ্বিতীয় আসামীর পালানোর চেষ্টার বিষয়টি লক্ষ্য করে রায় দিয়েছে যে তারা মা*দকদ্রব্যের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন ছিল এবং সেগুলি পাচার করার উদ্দেশ্যে ছিল।

মা*দকদ্রব্য সম্পর্কিত ২০২১ সালের ৩০ নং ফেডারেল ডিক্রি-আইন উদ্ধৃত করে আদালত জোর দিয়ে বলেছে যে বিপুল পরিমাণ ট্যাবলেট ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নয়, বরং ব্যবসার উদ্দেশ্যে ছিল।

ফলস্বরূপ, পুরুষদের যাবজ্জীবন কা*রাদণ্ড দেওয়া হয়, জব্দকৃত মা*দকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাদের নির্বাসন দেওয়া হবে।