আরব আমিরাত ই’স’রা’ই’লের অংশীদার; ‘ফি’লি’স্তি’নে’র মানুষের রক্তের উপর বাণিজ্য!’
সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ই’স’রা’ই’ল ২০২৩ সালে “বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব” নামে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে যা বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে আমিরাতের কোম্পানিগুলোকে ই’স’রা’ই’লের বাজারে প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে এবং ৯৬ শতাংশেরও বেশি শুল্ক লাইন এবং দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যের ৯৯ শতাংশ মূল্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই চুক্তির অধীনে পক্ষগুলো একটি উন্মুক্ত এবং বৈষম্যহীন বাণিজ্য পরিবেশ প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এরপরেও আবুধাবিতে নিযুক্ত ই’স’রা’ই’লি রাষ্ট্রদূত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে একটি অর্থনৈতিক ও কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছেন।
প্যালেস্টাইনের জনগণ যখন ইহুদিবাদী সরকারের অব্যাহত বোমাবর্ষণের মধ্যে সংগ্রাম করছে, তখন ইহুদিবাদী ই’স’রা’ই’লি সরকারের অন্যতম বৃহৎ আরব অংশীদার হিসেবে আমিরাত ই’হু’দি’বাদীদের সাথে একটি নতুন অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যা ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ই’স’রা’ই’লের অপরাধের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় উভয় পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। ফার্স নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত ই’স’রা’ই’লি রাষ্ট্রদূত ইয়োসি শিলি সম্প্রতি তেল আবিব এবং আবুধাবির মধ্যে আরেকটি কৌশলগত অর্থনৈতিক চুক্তির অনুমোদনের ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক নেটওয়ার্ক “এক্স”এ একটি বার্তায় দাবি করেছেন যে শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত এই চুক্তি পক্ষগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করবে এবং দ্বিপাক্ষিক প্রবৃদ্ধি এবং সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে অবদান রাখবে। পার্সটুডের এই প্রবন্ধটি ইহুদিবাদী সরকারের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে।
গা’জা যু’দ্ধে’র তুঙ্গে থাকাকালীন সরকারের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নজিরবিহীন বাণিজ্য
ই’স’রা’ই’ল পরিসংখ্যান কেন্দ্র কর্তৃক প্রকাশিত সরকারি তথ্য গাজা যুদ্ধের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ই’স’রা’ই’লের মধ্যে বাণিজ্যের নজিরবিহীন মাত্রা প্রকাশ করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কালের তথ্য অনুযায়ী, আরব দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের সর্বোচ্চ রপ্তানি করেছে। তথ্য বিশ্লেষণ অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এই সময়ের মধ্যে ইসরাইলে ১,৩৭৭ ধরণের দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি করেছে যা ৮১টি প্রধান পণ্য বিভাগে পড়ে। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্যের মধ্যে ছিল গয়না, শিল্প সামগ্রী, শিল্প সরঞ্জাম এবং কাঁচা ধাতু। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ৫৮৪.৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের মুক্তা, মূল্যবান পাথর এবং সোনার পণ্য রপ্তানি। রাসায়নিক সার, খাদ্য (ফলমূল ও শাকসবজি সহ), পানীয়, সিমেন্ট, লবণ, সালফার, ওষুধ, খেলনা এবং পোশাক রপ্তানিও রপ্তানি পণ্যের তালিকায় রয়েছে।
আরব আমিরাতের কাছে রপ্তানি বৃদ্ধি
সামগ্রিকভাবে, ই’স’রা’ই’লে দেশীয় উৎপাদিত আমিরাতি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ৩২.৬ মিলিয়ন ডলার, কিন্তু ২০২৪ সালের অক্টোবরে সর্বোচ্চ ১৪৮.৪ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল অর্থাৎ প্রায় ৪.৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে,একই সময়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭৬৩ ধরণের ই’স’রা’ই’লি পণ্য আমদানি করেছে যার মূল্য ৭৩৭ মিলিয়ন ডলার। এই আমদানির বেশিরভাগ অংশের মধ্যে ছিল গয়না,অপটিক্যাল এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম এবং খাদ্য ও পানীয়।