সুদানে মাত্র ৩ দিনে দেড় হাজার মানুষ খু* *ন, আমিরাতকে কেন দায়ি করা হচ্ছে?
একসময়ের জমজমাট শহর সুদানের আল-ফাশের এখন পরিণত হয়েছে মৃ*ত্যুকূপে। আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ নিয়ন্ত্রণ নছওয়ার পর থেকেই নির্বিচারে চলছে গ*ণহ*ত্যা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বেসামরিক নাগরিকদের হ*ত্যা, নারীদের ওপর যৌ ***ন সহিং*সতা, ঘরবাড়ি ও আশ্রয়কেন্দ্রে আ*গু*ন, সবই এখন নিত্যদিনের ঘটনা। শুধু তিন দিনে দেড় হাজার মানুষকে হ**ত্যা করা হয়েছে।
ধ্বং*সযজ্ঞ থেকে রেহাই পায়নি স্থানীয় হাসপাতাল, স্কুল এমনকি শরণার্থী ক্যাম্পও। শুধু একটি হাসপাতালেই প্রা*ণ হা*রিয়েছেন পাঁচ শতাধিক মানুষ। খাদ্য ও ওষুধের অভাবে শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে দু*র্ভিক্ষের শ*ঙ্কা। আরএসএফের এক কমান্ডার অবশ্য এসব অভিযোগকে ‘মিডিয়ার অতিরঞ্জন’ বলে দাবি করেছেন। তার ভাষ্যমতে, এটি সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে বানানো গল্প।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর হিসাবে দারফুর অঞ্চলজুড়ে এখন পর্যন্ত বাস্তুচ্যুত প্রায় ১২ লাখ মানুষ। প্রতিবেশী দেশ চাদে আশ্রয় নিয়েছে আরও আড়াই লাখ শরণার্থী।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানাচ্ছে—অপুষ্টি ও পানির অভাবে মারা যাচ্ছে বহু শিশু। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা হুঁ*শিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, সহায়তা না বাড়ালে এ সংকট রূপ নেবে ভয়াবহ দু*র্ভি*ক্ষে।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমাদের অভিযোগ, আরএসএফকে অ***স্ত্র ও অর্থ দিচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এছাড়া সুদানের সেনাবাহিনীও আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে আরএসএফকে সমর্থন দেয়া ও ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ বলছে, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে অ***স্ত্র বাণিজ্য বন্ধ রাখা উচিত। যদিও সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইউএই।
এদিকে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে হতাশা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব, মিশর ও ইউএই মিলে যে তিন মাসের মানবিক বিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান ও আরএসএফ নেতা মোহাম্মদ হামদান দাগালোর ক্ষমতার লড়াই এখন পুরো দেশকে গ্রাস করেছে।
২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরের পতনের পর একসময়কার সহযোগী এই দুই নেতা পরিণত হয়েছেন র**ক্ত*ক্ষ*য়ী শত্রুতে। সেনাবাহিনীতে আরএসএফকে একীভূত করার বিরোধ থেকেই গৃ*হ;যু’দ্ধে’র সূত্রপাত।