পিএইচপি কোরআনের আলোর ১৪ তম আসরের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সারাদেশ থেকে সেরা ২০ এ স্থান পেয়েছে জাকারিয়া হোসাইন।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের রায়পাশা গ্রামের জয়নাল আবেদী ও খাদিজা আক্তার পারভীন দম্পতির পুত্র হাফেজ জাকারিয়া হোসাইন। দুই ভাইয়ের মধ্যে হাফেজ জাকারিয়া হোসাইন বড়।

হাফেজ জাকারিয়া হোসাইন বর্তমানে কিশোরগঞ্জের নিউ আদর্শ নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। এর আগে স্থানীয় রায়পাশা বায়তুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও পরে ঢাকার একটি স্বনামধন্য মাদ্রাসা থেকে হেফজ বিভাগ শেষ করেন।

হাফেজ জাকারিয়া হোসাইনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, পিএইচপি কুরআনের আলোর ১৪তম প্রতিযোগিতায় সারাদেশের সেরা ২০ জনের মধ্যে আমি আছি। এবার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা হবে দুবাইয়ে। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের প্রতিযোগীরা অংশ নিবে।

হাফেজ জাকারিয়া বলেন, এত বড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। আশাকরি ভালো ফলাফল অর্জন করে মা-বাবা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করবো। আমি সবার দোয়া কামনা করি।

নিউ আদর্শ নূরানী হাফিজিয়ার মুহতামীম মাওলানা এরশাদুল হক বলেন, সারাদেশের মধ্যে প্রাথমিক বাঁচাই করে ২০ জনের মধ্যে আমাদের মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্র জাকারিয়া হোসাইন একজন। সে তার মেধা ও চেষ্টায় ভালো করেছে। আমরা আশা করি সামনেও তার চেষ্টা ও মেধা দ্বারা ভালো কিছু উপহার দিতে পারবে।

জানা যায়, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যা ৭ টার ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করবেন জাকারিয়া।

জাকারিয়া হোসাইনের বাবা জয়নাল আবেদীন বলেন,ছোট বেলা থেকেই জাকারিয়া প্রবল ইচ্ছায় হেফজ বিভাগে পড়ালেখা করে হাফেজ হয়েছে। ছেলের এ সাফল্যে আমি ও আমার পরিবার গর্বিত। দোয়া করি আমার ছেলে যেনো ভালো কিছু করতে পারে এবং ভবিষ্যতে কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করতে পারে।