বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে দেশের ধনী গোষ্ঠী, উদ্যোক্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই। দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ব্যবসাও বাড়ছে।

এ কারণে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, দেশ থেকে দুবাইয়ের পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ হয়তো পাচারকারীরা ফেরত আনছেন প্রণোদনার সুবিধা নিতে। প্রণোদনার সুবিধা নেওয়ার পর সেই অর্থ হয়তো আবারও অবৈধ পথে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে বৈধ পথে ইউএই থেকে প্রবাসী আয় আসা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।

তবে ব্যাংকাররা বলছেন, প্রবাসী আয়ে এখন ব্যাংকগুলো ভালো সুবিধা দিচ্ছে। এ কারণে বৈধ পথে আয় আসা বাড়ছে। বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন,

প্রবাসীরা বৈধ পথে টাকা পাঠালে এখন ভালো সুবিধা পাচ্ছেন। ব্যাংকগুলোও বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে প্রবাসীদের নানাভাবে উৎসাহ দিচ্ছে। বিশেষ করে ইউএইতে অনেক প্রচারণা চালানো হয়েছে। এ কারণে দেশটি থেকে প্রবাসী আয় আসা বেড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট ১ হাজার ৫০৮ কোটি মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এসেছে প্রায় ২৯১ কোটি ডলার।

যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে প্রায় ১৮৮ কোটি ডলার, সৌদি আরব থেকে ১৭৯ কোটি ডলার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৬৮ কোটি ও ইতালি থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার এসেছে। এ পাঁচ দেশ থেকেই চলতি অর্থবছরের আট মাসে এসেছে প্রবাসী আয়ের প্রায় ৬১ শতাংশ অর্থ।