আবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছে মরুর দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত ১৬ এপ্রিল ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় ভেসে যায় দেশটির বিমানবন্দর। ফলে শত শত ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

কিছুদিন বিরতির পর আবারও দেশটিতে চলছে বৃষ্টি ও বন্যা। ফলে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া, বৃষ্টি ও ট্রাফিকের কারণে বিলম্ব হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এবং আল মাকতুম ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টসহ দুটি বিমান সংস্থা। বৃহস্পতিবার থেকে ভ্রমণ করবে এমন যাত্রীদের জন্য এই ভ্রমণ উপদেশ জারি করা হয়।

এই বিষয়ে দুবাই বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বৃহস্পতিবারের অস্থির আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে, আমরা ভ্রমণকারীদের যাত্রা পরিকল্পনা করার পরামর্শ দিচ্ছি। শুক্রবারের পূর্বাভাস বার্তা, যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে বৃহস্পতিবার বিকালে জারি করা হবে।

মুখপাত্র আরও বলেন, ‘রাস্তার যানজটের কারণে বিলম্ব এড়াতে, আমরা সুপারিশ করছি যেন যাত্রীরা রিয়েল-টাইম ট্রাফিক আপডেট এবং বিকল্প রুটের জন্য স্মার্ট অ্যাপস ব্যবহার করেন। আর দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের টার্মিনাল ১ ও ৩-এ যাওয়ার জন্য দুবাই মেট্রো ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করুন।’

এই বিষয়ে গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমান সংস্থাগুলোর সঙ্গে যাত্রীদের ফ্লাইটের স্থিতি পরীক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে এবং আবহাওয়ার কারণে যে কোনো ধরনের বিলম্ব মাথায় রেখে স্বাভাবিক সময়ের আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাশাপাশি চেক-ইন, নিরাপত্তা এবং বোর্ডিং প্রক্রিয়ার জন্য অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার জন্যও যাত্রীদের বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুর্যোগ আঘাত হানবে এমন পূর্বাভাস থেকে আলাদাভাবে দুবাইয়ের প্রধান বিমান সংস্থা অ্যামিরেটসও বুধবার একটি ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে। এই সংস্থাটিও যাত্রীদের যত দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।

অ্যামিরেটসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘দুবাইয়ে ২ মে প্রবল বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে আপনি তাই রাস্তার বিলম্বের মুখোমুখি হতে পারেন।’

এয়ারলাইনটি যোগ করেছে, ‘আমরা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য অতিরিক্ত সময় হাতে রাখার এবং যেখানে সম্ভব দুবাই মেট্রো ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র দেশের পূর্বাঞ্চলে দিনের বেলায় বৃষ্টি এবং শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। এর আগে গত ১৬ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সাক্ষী হয়েছে দুবাই। ওই দুর্যোগে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বিমান পরিষেবাগুলো মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছিল।