পৃথিবীতে বসবাসরত প্রতিটি মানুষের একটি চাওয়া তার জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। দৈনন্দিন জীবনে শারীরিক মানসিক আর্থিক সামাজিক বৈশ্বিক সব ধরনের নিরাপত্তা মানুষের জীবনে সুখ সমৃদ্ধি নিয়ে আসার জন্য কেবলমাত্র সহায়ক ও একমাত্র কার্যকরী পদক্ষেপ। এমনই একটি নিরাপদ শহরে কিংবা নিরাপদ দেশে বসবাস করতে কার না ভালো লাগবে?

নামবিও ( Numbeo) নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার নতুন জরিপে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ নগরী হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি নগরী। বিশ্বের ১০০টি নিরাপদ নগরীকে পেছনে ফেলে এবারও শীর্ষস্থান দখল করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী খ্যাত এ শহরটি।

২০২২ সালেও বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ নগরীর মর্যাদা লাভ করেছিল মরুর দেশের এই শহর। এছাড়াও এবারে তালিকায় দ্বিতীয় এবং পঞ্চম স্থানে আছে দেশটির শিল্পনগরী আজমান এবং বাণিজ্যিক ও পর্যটন নগরী দুবাই।

এই তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে কাতারের রাজধানী দোহা এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে তাইওয়ানের তাইপ নগরী। এর পাশাপাশি তালিকায় অষ্টম স্থান পেয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক নগরী ওমানের মাস্কাট।

নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার পরিবেশে কাজ করার এবং বসবাসের জন্য একটি আদর্শ স্থান হিসেবে জীবনের মান, অপরাধ, স্বাস্থ্যসেবা, দূষণ এবং ট্রাফিকসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ের উপর নিয়মিত বার্ষিক এবং অর্ধ-বার্ষিক ভিত্তিতে শত শত শহরের ডেটা এবং র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে আসছে নামবিও নামের আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি ডিপার্টমেন্ট অফ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট (ডিসিডি) এর প্রকাশিত একটি জরিপে দেখা গেছে, আবুধাবিতে বসবাসকারী নারীপুরুষ নির্বিশেষে ৯৩ শতাংশেরও বেশি জনসাধারণ রাতের বেলায় একা একা চলাফেরা করতে নিরাপদ মনে করেন।

এই দেশের শহুরেরা মনে করেন এ সুনাম বয়ে আনার কারণে এ দেশের আর্থ্যসামাজিক উন্নয়নে আরো বেশি গতি আসবে। বহির্বিশ্বের মানুষ এই শহরে আসতে আগ্রহী হবে, ব্যবসায়ীরা আরো বেশি বিনিয়োগে উদ্যোমী হবে, নিরাপত্তা খোঁজে ফেরা পরিবারগুলো আরো অধিকহারে নিরাপদ শহরে আসার জন্য ও নিজেদের নানাধরনের সম্পৃক্ততা বাড়াতে আগ্রহী হবে।