প্রবাসী আয় মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনেই ২২৫ কোটি ডলার
মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক যে হিসাব দিয়েছে, তাতে চলতি মাসে ২২৫ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
“২০২৪ সালের মার্চের প্রথম ১৯ দিন রেমিটেন্স এসেছিল আসে ১২৭ কোটি ডলার।
“এবার এসেছে ২২৫ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি ৭৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনের রেমিটেন্স আসে ১৬৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ, গত চার দিনে এসেছে আরও ৫৯ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের পুরো চিত্র তুলে ধরে শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, চলতি অর্থবছরের ১৯ মার্চ পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে দুই হাজার ৭৪ কোটি ডলার।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসে এক হাজার ৬৩৪ কোটি ডলার। সে হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে; ২৬৪ কোটি ডলার।
আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে; ২৫৩ কোটি ডলার।
এবার রেমিটেন্স বাড়ার কারণ হিসেবে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ডলার বাজার অস্থিরতা বন্ধ হয়েছে। ডলার দাম এখন অনেকটাই স্থিতিশীল।
“হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম কমেছে। এছাড়া ঈদের আগে বেশি অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। এসব কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স বাড়ছে।”
চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো ১২৬ দরেও রেমিটেন্স কেনে বলে সংবাদমাধ্যমে আসে।
এমন প্রেক্ষাপটে জানুয়ারির শেষ দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্সের দর সর্বোচ্চ ১২২ টাকা ঠিক করে দেয়। তবে ব্যাংকগুলো এক টাকা পর্যন্ত বেশি দাম দিয়ে ডলার কেনাবেচা করতে পারবে।
এমন প্রেক্ষাপটে ওই সময় রেমিটেন্স ও রপ্তানিতে সব ব্যাংককে একই দর দেওয়ার মৌখিক নির্দেশ দেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
এসব নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে জরিমানা করার কথাও বলা হয়।