হানিমুনে যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে না পেরে ট্রেনের নিচে প্রাণ দিলেন নবদম্পতি

১১ জুন বুধবার এক প্রতিবেদনে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউ জানিয়েছে, মিল্লাত টাউন থানার আওতাধীন ২০২ রব ভাইওয়ালা আদিল টাউনের বাসিন্দা এবং ৩৪ বছর বয়সি পাওয়ার লুম শ্রমিক সাজিদ প্রায় আড়াই মাস আগে রাজিয়া বিবিকে বিয়ে করেছিলেন।রাজিয়া বিবির বয়স ৩০ বছর।

জানা যায়, ঈদের পর মধুচন্দ্রিমার জন্য ওই দম্পতি নারানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য সাজিদ তার বড় ভাই ফাহাদ এবং জাহিদের কাছে টাকা চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা সেই টাকার ব্যবস্থা করতে পারেননি।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১০ জুন) ভোরে সাজিদ তার স্ত্রী রাজিয়াকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চেয়ারম্যান স্টপের কাছে ভাইওয়ালা রেলক্রসিংয়ে যান। পরে সে তার ভাই জাহিদকে ফোন করে বলেন, ‘আমি আমার স্ত্রীর সাথে আ;ত্মহত্যা করতে যাচ্ছি। আমাদের মৃ,তদেহগুলো নিয়ে যেও।’

ফোন কলের পরই সাজিদ ও তার স্ত্রী রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন। ঠিক সেই মুহূর্তে লাহোর থেকে করাচিগামী বদর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এসে পৌঁছায় এবং স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ট্রেনের নিচে পড়ে আ,ত্মহত্যা করেন। মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ঘটনাস্থলেই তাদের ম্ত্যু‌ হয়। সাজিদের বড় ভাই জাহিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পথচারীদের সহায়তায় তাদের দেহাবশেষ সংগ্রহ করেন। পথচারীরা পুলিশে খবর দেন।

ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইনি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে মৃ,তদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে মিল্লাত টাউন পুলিশ। তারা জানায়, মৃ’ত ব্যক্তি একটি পাওয়ার লুমে কাজ করতেন এবং আড়াই মাস আগে রাজিয়া বিবিকে বিয়ে করেছিলেন। সাজিদ হানিমুনের জন্য যে টাকা চেয়েছিলেন, তার ভাইয়েরা তা দিতে না পারায় হতাশ হয়ে এই দম্পতি আ’ত্মহত্যা করেন।

এদিকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিয়ের মাত্র ১৫ দিনের মাথায় ওই দম্পতিকে আলাদা থাকতে বাধ্য করেছিল তাদের পরিবার।