প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে উচ্ছ্বসিত আমিরাত প্রবাসীরা
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছে বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীরা।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নীতিমালা ও কারিগরি প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলছে।
ড. ইউনূসের ঘোষণার পর আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। তারা আশা প্রকাশ করছেন, এই উদ্যোগ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও সুসংহত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা।
আজমান প্রবাসী সাজু মিয়া বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় দেড় কোটি প্রবাসী ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে। এটা খুবই ইতিবাচক। গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ হিসেবে ভোটের প্রতি আমাদের আলাদা আগ্রহ রয়েছে। দেশের জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসীদের ভোটাধিকার আরো আগেই নিশ্চিত হওয়া উচিত ছিল।
শারজাহ প্রবাসী ওয়াহিদুজ্জামান টিপু বলেন, দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান থাকলেও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে কোনো প্রকার কনট্রিবিউশন নেই। এটি আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গঠিত সরকার প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে দেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেবেন বলে প্রত্যাশা করি।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার এ উদ্যোগকে অনেকেই প্রবাসীদের সঙ্গে দেশের সংযোগ আরও শক্তিশালী করার মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ এবং জাতীয় স্বার্থে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে এটি হবে এক বড় পদক্ষেপ।
প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিগগিরই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের প্রক্রিয়া চালু হবে।
প্রবাসীদের আশা, এই পদক্ষেপ গণতন্ত্রের বিকাশে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং জাতীয় রাজনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।