মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে দেশটি। বিশ্ববাণিজ্যের চাহিদা পূরণের অন্যতম স্থান হিসেবে পরিণত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধা থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বৃত্তশালীরা বিনিয়োগ করছেন এখানে। দেশটিতে ব্যবসায়ে বিনিয়োগে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশিরাও। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। দেশটিতে বড় একটি অংশ বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত।

বিভিন্ন ধরনের এসব ব্যবসায়ের মধ্যে আমিরাতে বাংলাদেশিরা সাড়া জাগাচ্ছে হেয়ার সেলুন ব্যবসায়ে। যা এক সময় ভারতীয় কর্মীদের দখলে থাকলেও বর্তমানে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশ দুবাই, শারজাহ, আজমানে বাংলাদেশি হেয়ার সেলুন ব্যবসা বিস্তার লাভ করেছে। কম খরচে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ থাকায় ঝুঁকি ও তুলনা মূলক কম,তাই অনেকে স্বল্প বিনিয়োগে শুরু করছেন এ ব্যবসা; যার ফলে মিলছে সাফল্য।

এদিকে বাংলাদেশি এসব হেয়ার সেলুন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে অভিজ্ঞ শ্রমিকের চাহিদা। তবে দীর্ঘদিন ভিসা জটিলতা থাকায় অনেককে ভিনদেশি শ্রমিক নিতে হচ্ছে। যার কারণে বাংলাদেশ হারাচ্ছে শ্রম বাজার।

সেলুনে কর্মরত শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি মালিকাধীন এসব সেলুনের দোকানে মাস শেষে আয় থাকে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা। এছাড়া কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করে বাড়তি সময় দেওয়া গেলে বাড়ে আয়। এসব বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি ছাড়া ও স্থানীয় আরবদের মাঝে ও বিভিন্ন দেশের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে।

দেশটির শারজাহ প্রদেশের আল মাজলিস হেয়ার সেলুনের মালিক শ্রীমান কান্তি দেব চট্টগ্রাম খবরকে বলেন, একটা সময় বাংলাদেশিরা কাজ করার সুযোগ ছিল না কারণ তখন ভিনদেশি প্রতিষ্ঠান ছিল বেশি। বর্তমানে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাওয়ায় এই শ্রম বাজার দখল করে চলছে বাংলাদেশিরা। যা আমাদের জন্য গর্বের।

নতুন নতুন বাংলাদেশিদের এসব হেয়ার সেলুনের প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির মাধ্যমে কেবল মালিক পক্ষই আনন্দিত এমনটা নয়, বরং এসব বাঙালি প্রতিষ্ঠানে সৃষ্টি হচ্ছে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান। যার মাধ্যমে একদিকে নিজে স্বাবলম্বী হচ্ছে অন্য দিকে দেশ পাচ্ছে একটি বড় অংঙ্কের রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত রাখতে ভিসা জটিলতার বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে মনোযোগী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।