গত কয়েক মাস ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে বেশি পরিমাণের রেমিট্যান্স আসছে।। চলমান রিজার্ভ সংকটের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রবাসী আয় অর্থনীতিতে কিছুটা স্বস্তি এনেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সদ্য বিদায়ী নভেম্বর মাসেও রেমিট্যান্স আসার শীর্ষে ছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, গত মাসে বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা ১৯৩ কোটি ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ২১ হাজার ১৮১ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

গত নভেম্বরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা গত মাসে দেশে আসা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ২০ শতাংশ। এর আগের মাসে (অক্টোবর) আমিরাতের প্রবাসীরা ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন।

আমিরাত ছাড়াও যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে গত মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, নভেম্বরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। এক মাসে ইউরোপের এই দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ২৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে গেল মাসে ২১ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব থেকে গত মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। ইতালিতে থাকা দেশের প্রবাসীরা নভেম্বরে ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

এছাড়াও, মালয়েশিয়া থেকে ১৪ কোটি ২৮ লাখ, কুয়েত থেকে ১১ কোটি ৬৫ লাখ, কাতার থেকে ৮ কোটি ৭৬ লাখ, বাহরাইন থেকে ৪ কোটি ৭৬ লাখ এবং সিঙ্গাপুর থেকে নভেম্বর মাসে ৪ কোটি ৪৭ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২-২০২২ ও ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে ছিল সৌদি আরবে থাকা প্রবাসীরা। ২০২১-২২ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটি থেকে ৪৫৪ কোটি ১৯ লাখ ডলার সমপরিমাণের রেমিট্যান্স এসেছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স আসার গতি কমলেও শীর্ষে ছিল।

গত অর্থবছরে ৩৭৬ কোটি ৫২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল সৌদি থেকে। তবে চলতি অর্থবছরের শুরুতেই রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষে উঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা।