দুবাই চেম্বার্সের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে ৬৭ হাজার ২০২টি নতুন কোম্পানি সদস্য হিসেবে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে, যা বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করেছে। এটি দুবাই চেম্বার্সের ইতিহাসে অন্য সব বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। খবর খালিজ টাইমস।

দুবাই চেম্বার্সের তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সংস্থাটির অধীনে কাজ করছে দুবাই চেম্বার অব কমার্স, দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার ও দুবাই চেম্বার অব ডিজিটাল ইকোনমি। দুবাই চেম্বার অব কমার্সের সক্রিয় সদস্যের সংখ্যাও ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৭ হাজার ৭৮৮। ফলে প্রতিষ্ঠানের রফতানি ও পুনঃরফতানির মূল্য বার্ষিক ৪ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার সফলভাবে ১৩৮টি বিদেশী ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৪টি বহুজাতিক কোম্পানি, যা ২০২২ সালে অংশগ্রহণের তুলনায় ৫৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে ১০৪টি ছোট ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানও যুক্ত হয়েছে, যা দুবাই ইন্টারন্যাশনালের বার্ষিক ৫৫০ শতাংশ বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ৷

এছাড়া চেম্বারটি ৭৭টি স্থানীয় কোম্পানিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণেও সহায়তা করেছে, যা শতকরা ৭৫৬ শতাংশ রেকর্ড হারে বার্ষিক বৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ১৬টি নতুন অফিস চালু করেছে। এছাড়া আর্ন্তজাতিক সংযোগ রক্ষা করতে ৩১টি প্রতিনিধি অফিস চালু করেছে।

২০২৩ সালে দুবাই চেম্বার অব কমার্স ৭ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫৫টি নতুন সার্টিফিকেট যুক্ত করেছে, যেখানে রফতানিকারক সদস্যের সংখ্যা ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এতে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬ হাজার ৮৮।

২০২৩ সালে ৫০০ কোটি দিরহাম মূল্যের ৫ হাজার ৪৯২টি ছাড়পত্র বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি। একই বছর চেম্বারটি ৬৭টি নতুন প্রতিষ্ঠান যুক্ত করার মধ্য দিয়ে মোট ১০৫টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করেছে। দুবাই চেম্বার্সের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ আবদুল্লাহ আল ঘুরাইর বলেন, ‘‌টেকসই উন্নয়ন ও দুবাই বেসরকারি খাতকে সমর্থন করাই দুবাই চেম্বার্সের মূল লক্ষ্য।’

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার ২০২৩ সালে মোট ১৬টি নতুন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি অফিস চালু করেছে এবং আশা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০টি অফিস স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রায় প্রতিষ্ঠানটি এগিয়ে চলেছে।