ইমাম মানে হলো নেতা। ইসলামের পরিভাষায় মসজিদে যিনি নামাজ পড়ান তাকে ইমাম বলা হয়। আর এ ইমামই ইসলামে সমাজের নেতা হবেন। প্রত্যেক বাবা-মা এমন স্বপ্ন লালন করেন যে তার সন্তান ইমাম হবেন। তার পেছনে নামাজ পড়বে এলাকাবাসী। বাবা মায়ের এমন স্বপ্নপূরণে ইমাম হওয়ার জন্য বয়স নির্ধারণ করেছে দিয়েছে দুবাই। শনিবার (০৪ মে) খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে এখন মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইমাম হওয়া যাবে। দুবাইয়ের ছেলেরা এ সুবিধা পাবেন। বাবা মায়ের স্বপ্নপূরণের জন্য দুবাই এ উদ্যোগ নিয়েছে।

ইমাম গড়ে তোলার এ উদ্যোগকে ইমাম আল ফারিজ নামে নামকরণ করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করছে ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্ট (আইএসিএডি)।

দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স এবং আইএসিএডির নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের নির্দেশে এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এর আগে মুয়াজ্জিন আল ফারিজ চালু করা হয়। সেটির সফলতায় অনুপ্রাণিত হয়ে এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

আইএসিএডির মহাপরিচালক আহমেদ দারউইশ আল মুহাইরি বলেন, তরুণরা যাতে দুবাইয়ের মসজিদে নামাজের ইমামতি করতে পারেন এবং সমাজ সচেতনতা ও শিক্ষা কার্যক্রমে অবদান রাখতে পারে এজন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইমাম আল ফারিজের আওতায় আসা কিশোরদের বয়সের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে দুবাই। ১৬ থেকে ২১ বছরের কিশোররা এ প্রকল্পের আওতায় আসবেন।

শহরের ৭০টি মসজিদে এ প্রকল্পের আওতায় শিশু ও কিশোরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এসব শিশু-কিশোরদের চার মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১ মে থেকে এ কোর্সে ভর্তি শুরু করেছে দুবাই।