দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে যে সম্পর্ক আছে, তা বৃহৎ অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের পর্যায়ে উন্নীত করায় জোর দেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জাইউদির মধ্যে বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। বৈঠকটি আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এই বৈঠকে পারস্পরিক সমৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারে উভয় দেশের অভিন্ন প্রত্যাশায় জোর দেওয়া হয়েছে। দুই মন্ত্রী নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্রবন্দর ব্যবস্থাপনা, বিমান চলাচল, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও অন্যান্য নতুন প্রযুক্তিতে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে জ্বালানি সুরক্ষাসহ সহযোগিতার নতুন খাত অনুসন্ধানে জোর দেন। খবর বাসস।

দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদ্‌যাপন উপলক্ষে দুই মন্ত্রী যৌথ ব্যবসায়িক কাউন্সিল সক্রিয় করা ও নিকট ভবিষ্যতে ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (সিইপিএ) প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্বারোপ করেন।

আশা করা হচ্ছে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধান ও পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন নতুন খাত চিহ্নিত করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল আগামী মাসে বাংলাদেশ সফর করবে।

দ্বিপক্ষীয় বিষয় ছাড়াও মন্ত্রীরা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা করেন। অভিন্ন সংকট মোকাবিলা ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ক প্রচারণার জন্য বহুপক্ষীয় সহযোগিতা ও সমন্বয়ের প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফর ও ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন বৈঠকের সময় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।

আবুধাবিতে চলমান ১৩তম এআইএম (বার্ষিক বিনিয়োগ সভা) কংগ্রেস-২০২৪-এ যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে গেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি গতকাল সকালে কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ কয়েকটি অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মন্ত্রী, শিল্পপতি, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞসহ ১৭৫টি দেশের ১০ হাজারের বেশি অংশগ্রহণকারী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য উদ্ভাবনী কৌশল ও সুযোগ অনুসন্ধানে এখানে সমবেত হয়েছেন।

সংবাদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এডিএফডি (আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট) ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়ন বৃদ্ধির অনুরোধ করা হয়েছে।