দুবাই-তে ‘এআই’ মাধ্যমে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত

বিশ্বে খুব প্রচলিত একটি শব্দ ,এআই। তবে শব্দটি যতটা ছোট, এর গভীরতা ততটাই বেশি।আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স যার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো এআই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যন্ত্র বা অ্যাপ্লিকেশনকে মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির আদলে কাজের উপযোগী করে তোলে।
চাইল্ড হেল্পলাইন ফোরামে সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিতে দুবাই পুলিশ কীভাবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে তা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার সময় একটি ঘটনার উল্লেখ করে দুবাই পুলিশের শিশু ও নারী সুরক্ষা বিভাগের পরিচালক মেজর ডা. আলি মোহাম্মদ আল মাতরোশি বলেছেন, ইন্টারপোল একবার একটি শিশুর পোস্টকে কেন্দ্র করে সতর্ক বার্তা পাঠায়।

বার্তাটি পাওয়া মাত্রই বুঝতে পারেন যে তাঁদের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আইপি ঠিকানা দুবাইয়েই ছিল, তবে সহযোগিতার বিষয়টি ছিল সময়সাপেক্ষ।তাই শিশু ও নারী সুরক্ষা বিভাগ দ্রুত অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করতে অপরাধ তদন্তের সাধারণ বিভাগের সাথে সমন্বয় করেছে বলে জানান।

শিশুটির মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা ছিল না, নিতান্ত রসিকতার অংশ হিসেবে তিনি ছবিটি শেয়ার করেছেন। মাতরোশি বলেন,এই অবস্থাকে সাবধানতার সাথে মোকবিলা করতে হয়, যেন শিশুর মনের উপর কোন প্রভাব না পড়ে, একইসাথে সমস্যারও সমাধান হয়। তিনি মানুষের অনলাইন কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে শিশুদের নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে এআই বিস্তারে গুরুত্ব দেন।

তিনি বলেন, এআই মানুষের ক্ষতিকারক আচরণ শনাক্ত করতে এবং প্রাথমিক ঝুঁকি মোকাবিলা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শিশু সুরক্ষা সংস্থাগুলো শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কীভাবে এআইকে ব্যবহার করা যায় তার উত্তর খুঁজতে এক হয়েছেন।

প্যাট্রিক ক্রেনস বলেছেন,এআই তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের জন্য একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, এটি একটি শিশুর কোন কাজে সাহায্য বা হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে তা নির্দেশ করার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।