পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানো হয়েছে। বায়ুদূষণ রোধে দেশটির পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) পরীক্ষামূলকভাবে এ বৃষ্টি ঝরানো হয়।

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকবি জানিয়েছেন, কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরানোর উপকরণ উপহার হিসেবে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। খবর ডনের

তিনি বলেন, ‘আরব আমিরাতের একটি দল দুটি বিমান নিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন আগে এখানে আসে। তারা ৪৮টি ফ্লেয়ার ব্যবহার করে এই বৃষ্টি ঝরিয়েছে।’

লাহোরের ১০ অঞ্চলে কৃত্রিম মেঘ ছড়িয়ে এ বৃষ্টি ঝরানো হয়। ওই অঞ্চলে বায়ু দূষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানো হয়েছে।

কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর পরই লাহোরে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। কারণ কৃত্রিম ‍বৃষ্টি দূষণ অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে। এ জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী।

আরব আমিরাত কৃত্রিম বৃষ্টি ঝরাতে নিয়মিত ক্লাউড সিডিং পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সিলভার আয়োডাইড নামে এক ধরনের হলদেটে লবণের মিশ্রণ মেঘে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ক্রিস্টালগুলো ঘনীভবনকে উদ্দীপিত করে যা পরে বৃষ্টি ঝরাতে সাহায্য করে।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীনসহ আরো কয়েকটি দেশে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, সামান্য বৃষ্টিও বায়ুদূষণ কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

গত শনিবারে লাহোরের বাতাসে ২.৫ পিএম দূষণকারী পদার্থ পাওয়া গেছে। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিপজ্জনক সীমার থেকে ৬৬ গুণ বেশি। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থগুলো বাতাস থেকে নিশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দীর্ঘদিন কেউ এই বিষাক্ত বাতাসের সংস্পর্শে থাকলে সহজেই ফুসফুস ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।