সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরে বৃহস্পতিবার দেশটির দুবাই চেম্বারের সঙ্গে বৈঠক করেছে এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দল। এ বৈঠকে রমজানের পর বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুবাই চেম্বারের ১৫-২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে দুই পরিচালক সালেহীন এফ নাহিয়ান ও মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান, আবুধাবি দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মিজানুর রহমান ও দুবাইয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর আশীষ কুমার সরকার অংশ নেন।

অন্যদিকে দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মোহাম্মদ আলী লোথার নেতৃত্বে দেশটির গ্লোবাল মার্কেটসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেম আল শামসি, ডিরেক্টর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপস অ্যান্ড প্রটোকল অফিসার সুমায়া আল শামসি প্রমুখ অংশ নেন।

বাংলাদেশের ইকোনমিক জোনে জাপান, ভারত ও কোরিয়ার বিনিয়োগের উদাহরণ টেনে দুবাইকেও একই ধরনের প্রস্তাব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি সরকারের ভিশন-২০৪১সহ বিনিয়োগের সম্ভাব্য খাতগুলো তুলে ধরেন।

মাহবুবুল আলম আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম, পায়রা ও মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দরে ব্যাপক বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা চাইলে এ সুবিধা নিতে পারেন।’

এ সময় অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিনিময়, ব্যবসায়িক তথ্য আদান-প্রদানসহ বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কিছু খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন দুবাই চেম্বারের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী লোথা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বড় বড় ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু খাতে আমরা কাজ করতে আগ্রহী। আর স্বল্প পরিসরে এটি শুরু হতে পারে ব্যবসায়িক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে।’

পরে আশীষ কুমার সরকার বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি জেনে খুশি দুবাই চেম্বারের কর্মকর্তারা। তারা নির্ধারিত কিছু খাতে বিনিয়োগ করতে চান। তাতে ভালো ফলাফল মিললে বড় পরিসরে কাজের পরিবেশ তৈরি হবে।’