যে কারণে টুইটারের পর এবার টিকটক কিনতে যাচ্ছেন মাস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে রীতিমত ‘যুদ্ধ’ করে ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে চীনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক। এ যাত্রায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তাদের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মালিক খুঁজে নিতে বলেছে। এর ব্যত্যয় হলে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে এই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মার্কিন ধনকুবের এবং সামাজিক মাধ্যম এক্স-এর (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্কের কাছে টিকটক বিক্রি করতে গোপন বৈঠক করছে বেইজিং।
যদিও টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘বানানো গল্প’।
মার্কিন আইনপ্রণেতাদের আপত্তি দীর্ঘদিনের। টিকটকের মাধ্যমে চীন সরকার মার্কিন জনগণের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে পারে, আদালতে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর মার্কিন কংগ্রেস একটি বিল পাস করে যা আইনে পরিণত করেন জো বাইডেন। সেই আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা কোনো মার্কিন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে থাকতে হবে। অথবা ১৯ জানুয়ারি থেকে দেশটিতে টিকটকের অস্তিত্ব থাকবে না।
সিএনএন, ব্লুমবার্গসহ কিছু শীর্ষ মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে মাস্কের। তাই এই ধনকুবেরের হাতেই টিকটকের মালিকানা যাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
সিএনএনের প্রতিবেদনে প্রযুক্তি বিশ্লেষক ড্যান ইভস বলেন, ‘বেইজিংয়ের কাছে প্রার্থী একজনই। মাস্ক। এ ছাড়া, তিনি টিকটকের মালিকানা নিলে (তার অপর সামাজিক মাধ্যম) এক্স-এর মূল্যমান দ্বিগুণ হয়ে যাবে রাতারাতি।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের প্রায় ১৭ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। দেশটির বেজবল দল লস অ্যাঞ্জেলস ডজার্সের সাবেক মালিক ফ্র্যাঙ্ক ম্যাককোটের নেতৃত্বে মার্কিন ধনকুবেরদের একটি দল গত সপ্তাহে টিকটককে কিনে নিতে একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাবও পাঠিয়েছে। তবে সে প্রস্তাব গ্রহণ করেনি বাইটড্যান্স।