ধীরে ধীরে ফুলে ফুঁসে উঠেছে বঙ্গোপসাগর

লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ, পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আগে এটি গতিমুখ বোঝা যাবে না।

তিনি আরো বলেন, লঘুচাপটি সর্বোচ্চ শক্তি সঞ্চয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। কোনো কোনো মডেল বলছে এটির গতিপথ হতে পারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূলের দিকে। আবার কোনো কোনো মডেল বলছে পশ্চিমবঙ্গে এটি আছড়ে পড়তে পারে। উপকূলে আসতে পারে আগামী ২৬ মে’র দিকে।

লঘুচাপের কারণে বঙ্গোপসাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। কেননা, এর কেন্দ্রে বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার, যা উঠে যাচ্ছে ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এটি গতিবেগ উঠতে পারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত, সে সময় সাগর ব্যাপক বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। পরদিন এটির গতিবেগ উঠতে পারে ৭০ কিলোমিটারে।

তবে লঘুচাপটি এখনো বাংলাদেশের উপকূল থেকে অনেক দূরে এবং তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলের কাছাকাছি থাকায় দেশের মাছ ধরা ট্রলার ও নৌকাগুলোর জন্য কোনো সতর্কতা নেই।

তিনদিনের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, বান্দরবান, খুলনা, মোংলা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, খেপুপাড়া এবং ভোলা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বাড়তে পারে।

শুক্রবার ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।