আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের সেলিম মিয়ার একমাত্র পুত্র নাইমুর রহমান শিমুল। বয়স ২২ বছর। দুই বছর আগে বাবা-মা’র নিষেধ অমান্য করে উন্নত জীবনের আশায় পাড়ি জমান দুবাইয়ে। ভালো একটি কোম্পানিতে চাকরিও হয় তার। দিনকাল ভালোই চলছিল তার।

গত ২৫শে সেপ্টেম্বর রাত ১১টায় মায়ের সঙ্গে, বোনের সঙ্গে কথা হয় শিমুলের। এরপর সে যথারীতি ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে সহপাঠীরা কাজে যাওয়ার জন্য ডাকলে তার কোনো সাড়া-শব্দ মেলেনি। বিষয়টি কোম্পানির মালিককে জানালে পুলিশসহ তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। শিমুলকে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ডাক্তার বলেছেন, আকস্মিক হৃদযন্ত্র অকার্যকর হয়ে তার মৃত্যু হয়। এরপর দুবাইয়ে অবস্থানরত বাঙালি কমিউনিটির লোকজন লাশ দেশে প্রেরণ করেন। গতকাল সকাল ৭টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিমুলের কফিন পৌঁছলে আত্মীয়রা তার মরদেহ গ্রহণ করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

দুবাই থেকে কফিনের সঙ্গে রিপন খন্দকার নামের এক প্রতিবেশী আসেন। জানাজা শেষে সন্ধ্যায় শিমুলকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।