rough gold, gold mine with rare golden stone

গোল্ড বা স্বর্ণ মানেই সাধারণত গুনগত মান-দাম পরিচিতিতে দুবাই এর গোল্ড বা স্বর্ণ অনেকেরই কাছে বেশ প্রিয় ও গ্রহণযোগ্য ।

সম্প্রতি দুবাই এ গোল্ড ব্যবসায় অনেক বাংলাদেশিদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে খুচরা ও পাইকারি এবং আড়ম্বরপূর্ণ নানান জুয়েলারি সপে বাংলাদেশিরা নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

যা ইতিপূর্বে ইন্ডিয়ানদের আধিক্য ছিল।

তবে এই প্রথম দুবাইয়ের গোল্ড বাজারে বাংলাদেশি কোম্পানি মাইনিং ব্যবসা চালু করেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খনিজ সম্পদ থেকে সরাসরি স্বর্ণ উত্তোলন করে দুবাই নিয়ে এসে প্রসেসিং শেষে তা পূনরায় বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করছে ।

দুবাইয়ের গোল্ড বাজারে অসংখ্য বাংলাদেশির বিনিয়োগ রয়েছে। বুলিয়াম বিক্রয় কেন্দ্রসহ জুয়েলারি সপ রয়েছে বেশ কিছু প্রবাসী বাংলাদেশীর। তবে গোল্ড মাইনিং ব্যবসায় তাদের অগ্রসর হতে দেখা যায়নি এতোদিন।

বড় অংকের বিনিয়োগ এবং গোল্ড প্রসেসিংয়ে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় এই ব্যবসা বাংলাদেশিদের জন্য অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল।

তবে এবার বড় বিনিয়োগের গোল্ড মাইনিং ব্যবসায় হাত দিতে দেখা গেছে বাংলাদেশি একটি কোম্পানির। তবে এর পূর্বে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইংল্যান্ড ও আফ্রিকার মালিতে তাদের মাইনিং ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছে।

শিলাগোল্ড নামের এ কোম্পানিটি তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড দুবাইতে বাজারজাত করার লক্ষ্যে হেলো পিউর গোল্ড নামে আরেকটি কোম্পানিকে প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। যাদের বাৎসরিক টার্নওভার ৩ শত মিলিয়ন ডলার টার্গেট রাখা হয়েছে। গোল্ড মাইনিং ব্যবসায় বাংলাদেশি কোম্পানির বিনিয়োগ গোল্ড বাজারে নতুন চমক সৃষ্টি করেছে।

বিশ্বের বিভিন্ন খনি থেকে গোল্ড আহরণ করে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ৩০ টন গোল্ড দুবাইতে সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠানটি খনি থেকে র মেটারিয়াল গোল্ড সংগ্রহ করে দুবাইতে নিয়ে এসে তা ম্যানুফ্যাকচারিং এর মাধ্যমে টিটিবার এবং কিলো বার তৈরি করবে। পরবর্তীতে এটা দুবাইয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাপ্লাই দেওয়ার পর, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করবে। তাছাড়া খনিজ সম্পদ থেকে স্বর্ণ উত্তোলনকারী বাকি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় করে গোল্ডের দামও নির্ধারণ করার কথা বলছে এই প্রতিষ্ঠানটি।

ইতিমধ্যে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানটি তাদের যাবতীয় কার্যক্রম শুরু করেছে দুবাইয়ে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে আগামীতে গোল্ড মাইনিংয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের একটি ব্র্যান্ড তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে । পাশাপাশি দুবাইয়ের গোল্ড বাজারে বাংলাদেশিদের আধিপত্যও অনেকাংশে বাড়বে বলে অনেকে মনে করছে।