মাদারীপুরে দুবাই, সুলতান সুলেমান, ক্যারামেল, চালতা, তেঁতুল, কমলা, আয়ুর্বেদিকের নানা উপকরণসহ বাহারি রকমের চা পাওয়া যাচ্ছে সদর উপজেলায় ‘চায়ের বাড়ি’ খ্যাত দোকানটিতে।

এ চা পান করতে বিকালে থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রতিদিন ছুটে আসছেন নানা বয়সের মানুষ। ফেসবুক আর ইউটিউবেও সুনাম ছড়িয়েছে বেশ। সবার মুখে মুখে এখন মনিরের স্পেশাল দুবাই চা।

জানা যায়, ২০০০ সালে মনির এসএসসি পাশ করার পর সংসারের হাল ধরতে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। সেখানে একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। ২০ বছর চাকরির সুবাধে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হতো মনিরের।

বিমান বন্দরের পাশের একটি দোকানে দুবাই চা খেয়ে বেশ তৃপ্তি পান মনির। পরে গার্মেন্টেসের চাকরি ছেড়ে ২০২১ সালে গ্রামে ফিরে আসেন। ইউটিউব দেখে ‘দুবাই চা’সহ বাহারি রকমের চা বানানোর কৌশল শেখেন মনির। পরে নিজেই খুলে বসেন দোকান।

প্রথমে দোকানে ১৫ রকমের চা বিক্রি শুরু করলেও ক্রেতাদের চাহিদা এখন পাওয়া যায় ১১০ রকমের চা। মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার ডা. মোজাম্মেল হক খান সড়কের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা প্রবীণ নিবাস ও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশে জমজমাট চায়ের বাড়ির এই দোকান। ছোট্ট দোকানে ক্রেতাদের ভিড়ে দম ফেলার সুযোগ নেই দোকানি শাহরিয়ার মনিরের।

ক্রেতাদের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনদিন। মাদারীপুর শহর থেকে দোকানটি মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরত্বে। যাতায়াতে রয়েছে বেশ সুবিধা। স্বল্প দাম হওয়ায় আশপাশের জেলা থেকেও আসে মানুষ চা পান করতে।

তৃপ্তিও পান ক্রেতারা। প্রতিদিন ৩০-৩৫ হাজার টাকার চা বিক্রি করেন মনির। গ্রামের মধ্যে মনিরের এই সাফল্য দেখে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তাও।

ক্রেতা আরিফা আক্তার পায়েল বলেন, ‘প্রায়ই চা পান করতে এখানে আসি। খুবই মজাদার। অনেক লোকজন আসে। এখানের চা খুবই ভালো।’ ওয়াসিম ইমলাম বলেন, ‘বন্ধুদের সাথে চা পান করতে এসেছি।

অন্য চা থেকে এখনকার চা আলাদা টেস্ট রয়েছে। আগে শুনেছিলাম, এখন চা পান করে মুগ্ধ হয়েছি। জনপ্রিয় দুবাই চা পান করতে সবাইকে অনুরোধ করব।’ দোকানি শাহরিয়ার মনির বলেন,

‘৪০টি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয় দুবাই চা। এই চায়ের সুনাম ছড়িয়েছে গ্রাম থেকে শহর, আর শহর থেকে পুরো জেলা। চা পান করতে ছুটে আসছেন দূরদূরান্তের ক্রেতারা। আশা আছে, দোকান আরও বড় করে তৈরি করব।’