রাজধানীর কাফরুলের উত্তর ইব্রাহিমপুরের একটি জমি নিয়ে দ্বন্দে ছেলে সন্তানের বিরুদ্ধে আদালতে দাঁড়িয়েছেন বৃদ্ধ মা খুরশিদা খাতুন। স্বামী মারা যাওয়ার পরে বাড়ি নিজের নামে নিতে চান সন্তানেরা।

তবে মায়ের ভরণপোষণের কোনো দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে নিবে না। এই সম্পত্তি দখল নিয়েই মায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় দুই সন্তান ও মেয়ের জামাই। সন্তানদের বিরুদ্ধে মারধর ও হত্যার অভিযোগে মামলা করেন খুরশিদা খাতুন। ছেলে আর মেয়ে আগাম জামিন আবেদন করেছেন হাইকোর্টে। তাদের জামিন ঠেকাতে মাও এসে আদালতে হাজির।

অভিযোগ জানা গেছে, ছেলে হামিদুল হক সোহেল, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আর মেয়ে তাসলিমা আক্তার সুমি কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনে। তারা দু’জনই তাদের মাকে একাধিকবার মেরেছেন। ঘর থেকে বের করেও দিয়েছেন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি রেজাউল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে তাদের জামিন শুনানি হয়। শুনানিতে বিচারপতির সামনে দাঁড়িয়ে আকুতি জানান, তাদের সন্তানদের জামিন না দিতে। তিনি বলেন, ‘স্যার ওরা আমাকে মারধর করে, স্যার ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, ওদের জামিন দিয়েন না।’

ভুক্তভোগী নারী খুরশিদা খাতুন বলেন, ‘আমার ৫ লাখ টাকার মতো ওরা নিয়ে গেছে। আমার মুখেও মারছে। আমি কোথায় যাই না, আমার পিছে লোক রেখে দিছে।’

ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত বলেছেন যে আজকে যদি এদেরকে জামিন দেয়া হয় তাহলে সমাজে একটা খারাপ মেসেজ যাবে এবং মায়েদের প্রতি নির্যাতন বেড়ে যাবে। এই যে মাকে মেরেছে তার জন্য মহামান্য আদালত সন্তানদের প্রতি ভৎসর্না দিয়েছে এবং তাদের জামিন আবেদন নামন্জুর করেছেন।’

বয়সের ভারে ঠিকমতো হাঁটতে পারছেন না খুরশিদা খাতুন। সন্তানদের মারধরের ভয় তার চোখে-মুখে। সন্তানদের নির্যাতনের ভয় তাড়া করছে তাকে, তাই জামিন ঠেকাতে কোর্টের বারান্দায় ঘুরছেন এই নারী।