বিদেশী ব্যাংকের ওপর ২০ শতাংশ বার্ষিক কর আরোপ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই। তবে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল সেন্টারের (ডিআইএফসি) লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এর আওতায় পড়বে না। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ।

সম্প্রতি এ সম্পর্কিত আইন পাস করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ। আইনের বিধানটি স্পেশাল ডেভেলপমেন্ট জোন ও ফ্রি জোনসহ দুবাইয়ে কাজ করে এমন সব বিদেশী ব্যাংকের ওপর প্রযোজ্য। যদি বিদেশী ব্যাংক করপোরেট ট্যাক্স আইনের আওতাধীন হয়, তবে বার্ষিক ২০ শতাংশ কর দিতে হবে।

এ আইন লঙ্ঘনে জরিমানার বিধানও রাখা হয়। দুবাই মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আরোপিত জরিমানা ৫ লাখ দিরহাম বা ১ লাখ ৩৬ হাজার ১৪৭ ডলারের বেশি হবে না। তবে দুই বছরের মধ্যে আবার আইন লঙ্ঘন হলে জরিমানা দ্বিগুণ করা হবে অর্থাৎ সর্বোচ্চ ১০ লাখ দিরহাম পর্যন্ত অর্থদণ্ড করা হবে।

নতুন আইনের বিধান বাস্তবায়নে অর্থ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। পরে সরকারি গেজেটের মাধ্যমে তা প্রকাশ করা হবে।

এদিকে ইউএইর ব্যাংকগুলো প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে বলে জানিয়েছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এস অ্যান্ড পি গ্লোবাল রেটিং। এক প্রতিবেদনে ফেব্রুয়ারিতে বলা হয়, দেশটিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো চলতি বছর শক্তিশালী ধারায় আয় করবে। যার মাধ্যমে বোঝা যায়, ওই অঞ্চলে উন্নত সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিবেশ রয়েছে এবং উচ্চ সুদহারের কারণে ধারাবাহিকভাবে লাভের অংকও বাড়ছে।

রেটিং এজেন্সিটি আরো বলেছে, বর্ধিত ব্যবসা ও ট্রেডিং কার্যকলাপের কারণে গত বছর সুদ-বহির্ভূত আয় বেড়েছে। চলতি বছরও লাভজনকভাবে এ আয় বাড়বে।

সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের প্রথম নয় মাসে দুবাইয়ের অর্থনীতি বার্ষিক ৩ দশমিক ৩ শতাংশ প্রসারিত হয়েছে। এর পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে আমিরাতের পর্যটন ও পরিবহন খাতের প্রবৃদ্ধি।