চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ডানা মেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিমান সংস্থা ‘ইউএস বাংলা এয়ালাইন্স’। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে আলোচ্য রুটে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করবে বিমান সংস্থাটি। ইতোমধ্যে এ রুটের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইটটি পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির।

এর আগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবুধাবিতে মাত্র দুটি বিমান সংস্থা যাত্রী পরিবহন করে আসছিল। এর মধ্যে একটি এয়ার এরাবিয়া, অন্যটি রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা বাংলাদেশ বিমান। সপ্তাহে মাত্র তিনটি করে এ দুটি বিমানের ফ্লাইট ছিল। নতুন করে এ রুটে ইউএস বাংলার কার্যক্রম শুরু হলে চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন এ অঞ্চলের যাত্রীরা। পাশাপাশি প্রতিযোগিতা বাড়ায় বিমান ভাড়াও কমার আশা যাত্রী ও সেবা প্রদানকারী এজেন্সিগুলোর।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবি যাবে। সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার, শুক্রবার ও রবিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এটি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। আবুধাবিতে অবতরণ করবে স্থানীয় সময় রাত ৯টা ১০ মিনিটে।

অন্যদিকে, আবুধাবি থেকে প্রতি সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবি ভ্রমণে ওয়ানওয়ের ন্যূনতম ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১ হাজার ১৫৫ টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৭১ হাজার ৩০০ টাকা।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের চাহিদার কারণে ইউএস-বাংলা আবুধাবিতে ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত দু’দেশের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। রাজধানী আবুধাবী হবে ইউএস-বাংলার সরাসরি আমিরাতে পরিচালিত তৃতীয় গন্তব্য। বর্তমানে সংযুক্ত আমিরাতে দুবাই ও শারজাহ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সক্ষমতা পূর্বের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ফলে আন্তর্জাতিক রুটেও ফ্লাইটের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটের নতুন ফ্লাইট চালু হওয়া তার একটি উদাহরণ। আমারা আশাবাদী সামনে আরও বেশ কিছু এয়ালাইন্স আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে।