পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি বিশ্ব ক্রিকেটের বড় নাম। আইসিসির মাসসেরার লড়াইয়ে তার থাকা তাই খুব সাধারণ ব্যাপার।

কিন্তু এই লড়াইয়ে তার সঙ্গে যে দুজন আছেন তারা খুব পরিচিত কেউ নন। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্বায়নের যুগে এ অসম্ভব কিছুই নয়।

আইসিসির এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনজনের সেই তালিকায় শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে রয়েছেন নামিবিয়ার অধিনায়ক গেরহার্ড এরাসমাস ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিধ্বংসী ব্যাটার মুহাম্মদ ওয়াসিম।

তিনজনের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদির গত মাসের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল এককথায় দুর্দান্ত। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভালো ফর্ম যাচ্ছে তার। গত মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি তিনি।

কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার আগে এক উইকেট নিয়েছিলেন শাহিন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১৩ রানে নেন ৩ উইকেট। নিউজিল্যান্ড ওই ম্যাচে অলআউট হয় মাত্র ৯০ রানে। দল জিতিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। এরপর শেষ ম্যাচে আরও উজ্জ্বল ছিল তার পারফরম্যান্স। ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের জয় ও সিরিজ ২-২ ড্রয়ে শেষ করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ওই ম্যাচের সেরা হওয়ার পাশাপাশি সবমিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হন এই বাঁহাতি বোলার।

শাহিনের সঙ্গে মাসসেরার লড়াইয়ে থাকা এরাসমাস নামিবিয়ার তারকা অলরাউন্ডার এবং অধিনায়ক। গত মাসে ওমান সফরে ব্যাট ও বল উভয় বিভাগেই দারুণ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুইবার জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। দ্বিতীয় ম্যাচে নামিবিয়া মাত্র ৬ রানে হারলেও ব্যাট হাতে ৫৬ বলে ৫৮ রান এবং ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় হন এরাসমাস।

সিরিজ নির্ধারণী পঞ্চম ম্যাচে ছয় ছক্কায় ২৯ বলে ৬৪ রান করেন এরাসমাস। এরপর বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি উইকেটও নেন। ম্যাচটিতে ওমানকে ৬২ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় নামিবিয়া।

গত মাসে দারুণ ফর্মে ছিলেন ওয়াসিম। আমিরাতের এই ডানহাতি বিধ্বংসী ব্যাটার এসিসি প্রিমিয়ার কাপে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। যদিও কুয়েতের বিপক্ষে প্রথম বলেই ডাক মেরে মাস শুরু করেছিলেন তিনি। তবে ৩০ বছর বয়সী টপ-অর্দার ব্যাটার দ্রুত ছন্দ খুঁজে পান। টানা তিন ম্যাচে তার সংগ্রহ যথাক্রমে- ৬৫, ৪৫ ও ৪৮ রান।

ওয়াসিম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হন এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ফাইনাল ম্যাচের পারফরম্যান্সের পর থেকে। মাত্র ৫৬ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৭টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। ওমানের বিপক্ষে ওই ম্যাচটি ৫৫ রানে জিতে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত