সুন্দর সাজানো-গোছানো অদ্ভুত এক শপিং মল। নেই কোনও বিক্রেতা বা ক্যাশিয়ার। দিব্যি সেখানে ঢুকে নিজের ইচ্ছে মতো জিনিস তুলে নিচ্ছেন ক্রেতারা। তারপর দাম মিটিয়ে গটগটিয়ে হেঁটে চলে আসছেন সেখান থেকে।

কর্মী-ক্যাশিয়ার ছাড়া চলছে আস্ত একটা শপিং মল! ভাবছেন, এটা কী ভাবে সম্ভব? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের কোনও দেশ নয়। কর্মীবিহীন এমনই অদ্ভুত শপিং মল রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাইতে।

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে ওই শপিং মলটির উদ্বোধন করে স্থানীয় প্রশাসন। দুবাই শহরের প্রাণকেন্দ্রের ওই মলে কর্মী না থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থার খামতি রাখা হয়নি। রয়েছে একাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া বিশেষ একটি অ্যালার্ম সিস্টেম রাখা হয়েছে সেখানে।

কিন্তু কী ভাবে ক্যাশিয়ার ছাড়া চলছে গোটা শপিং মল? এর জন্য অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম সেখানে ইনস্টল করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে দাম মেটাতে জিনিসপত্র কেনার পর একটি নির্দিষ্ট যন্ত্রের সামনে চলে যান ক্রেতারা। সেখানে প্রথমে নিজের মোবাইল নম্বর দেন তাঁরা। এর পর সমস্ত জিনিস একটি ট্রেতে তুলে দিতে হয়। মেশিনটি নিজে থেকেই জিনিসগুলির দাম দেখে নয়। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে ক্রেতার মোবাইল ফোনে আসে SMS। সেখানেই কত টাকা মেটাকে হবে, তা পরিষ্কার করে লেখা থাকে।

এর পর দাম মেটানোর বিষয়টিও একা একা করতে হয় ক্রেতাকে। ওই মেশিনেই ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করতে হয় তাঁদের। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিলের টাকা কেটে নেওয়া হয়। এরপর জিনিসপত্র নিয়ে মল থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এবার এই পদ্ধতিতে আরও কিছুটা বদল আনতে চলেছে আমিরশাহী প্রশাসন। কয়েকদিন আগেই ফ্রান্স সফর সেরে মধ্য প্রাচ্যের এই দেশে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে ভারতের মতো UPI পেমেন্ট পদ্ধতি চালু করা হয় আমিরশাহীর রাজার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সূত্রের খবর এই সংক্রান্ত একটি মউ চুক্তিতেও সই হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, আমিরশাহীতে UPI পদ্ধতি চালু হয়ে গেলে এই ধরনের শপিং মলগুলিতে দাম মেটানো আরও সহজ হয়ে যাবে। তখন বিলের টাকা SMS হিসেবে এলেই তা মোবাইল থেকেই মিটিয়ে দিতে পারবেন ক্রেতারা। এর জন্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড সোয়াইপ করতে হবে না তাঁদের।

এর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চাইছে UAE। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরেই সময়ই সেখানে দিল্লি IIT-র ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে যাবতীয় চুক্তিপত্রে সই হয়। অন্যদিকে কাশ্মীরেও বড় বিনিয়োগ করছেন আমিরশাহীর কোটিপটি ব্যবসায়ীরা।